সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ড. ইউনূসের গ্রেফতার দাবি ওলামা-মাশায়েখদের

D-R-U-Olama20130725020814[1]

সমকামীদের সমর্থন দেওয়ার অপরাধে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের গ্রেফতার দাবি করেছে ওলামা-মাশায়েখ সংহতি পরিষদ। একই সঙ্গে তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করে যেখানেই তাকে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহতের জন্যও সকল ধর্ম বিশ্বাসীদের প্রতি আহবান জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা আইয়ূব আনসারী।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এ অপরাধে ড. ইউনূসের শাস্তি দাবি করা হয়। একই সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমকামীদের সমর্থনে গোপনে কাজ করছেন বলে অভিযোগ এনে তাকেও অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি করেন ওলামারা।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি ও দেশের জনগণের প্রতি পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে বলাৎকারের সমর্থক ড. ইউনূসকে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি, ড. ইউনূসকে সামাজিকভাবে বয়কট করে দেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা,  তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করতে ধর্ম বিশ্বাসী সকলের প্রতি আহবান, প্রতি শুক্রবার জু’মার নামাযে এ জঘন্য কর্ম ও ব্যক্তির মুখোশ উন্মোচনের লক্ষ্যে আলোচনা করার জন্য ইমাম-খতিবদের প্রতি আহবান এবং রমজানের পর ইউনূস সেন্টার ঘেরাওসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পশ্চিমা ভোগবাদী শক্তির মানুষের জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণহীন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সমকামীদের অধিকার সংরক্ষণের এজেন্ডা নিয়ে ড. ইউনূস মাঠে নেমেছেন। এতোদিন বিশ্বব্যাপী সমকামীদের কার্যক্রম অনেক ক্ষেত্রে নিরবে সঙ্গোপনে পরিচালিত হতো। সামাজিক সভ্যতার দেয়াল টপকে দিবালোকে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতো না। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, আমাদের দেশের গর্বিত সন্তান নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস বর্তমানে এই অসভ্য নির্লজ্জ কাজের একজন বড় সমর্থক। বিশ্বব্যাপী সমকামীদের প্রতি তিনি একাত্মতা প্রকাশকারী।

ইসলামের মৌলিক একটি বিধানের  বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে সমকামীদের পক্ষ্যে জনমত তৈরির জন্য নোবেল বিজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু (সাউথ আফ্রিকা) অধ্যাপক জেডি উইলিয়াম (যুক্তরাষ্ট্র), ড. শিরীন এবাদী (ইরান) ও ড. ইউনূস এই চারজন একত্রে বিদেশি পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান করেছেন। যাতে সমকামী জীবন ধারণকারীদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইসলামে এ প্রকৃতিবিরুদ্ধ  অসভ্যতার কোনো ক্ষমা নেই। ফকীহরা এটাকে জেনা-ব্যভিচার থেকেও জঘন্য বড় পাপ বলেছেন। এক্ষেত্রে সমকামীদের কঠিন শাস্তি দেওয়ারও বিধান রয়েছে। শুধু ইসলামই নয়, ইহুদি, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও এটাকে জঘন্য অপরাধ বলে মনে করে থাকেন এবং ঘৃণা করেন।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, সমলিঙ্গ ও সমকামীদের মধ্যে বিবাহ বন্ধন এবং তাদের আইনের আওতায় এনে সামাজিক বৈধতা প্রদানের পক্ষে ড. ইউনূস যে এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছেন তা ইসলামের বিরুদ্ধে চরম আঘাত। এ অশ্লীলতার প্রচার-প্রসার ইসলামে কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের সকল ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে এ বেহায়াপনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। আমরা বাংলাদেশের ওলামা- মাশায়াখের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বক্তারা বলেন, ইসলামবিরোধী সুদের ব্যবসা সামাজিকরণের পর সমকামিতার মতো কুকর্মকে সামাজিকীকরণের চক্রান্ত দেশের ইসলামী জনতা বরদাস্ত করবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ওলামা-মাশায়েখ সংহতি পরিষদের মহাসচিব মাওলানা ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সাঈফী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা রুহুল আমিন সিরাজী, আব্দুল আলিম ফরিদ, মাওলানা শরফী উদ্দীন প্রমুখ।