সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

যৌন জেহাদের ধারণায় গড়ে ওঠা জামায়াতের মহিলা শাখা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দু দেশেই বিতর্কিত



যৌন জেহাদের ধারণাটি প্রকাশ্যে আলোচিত হয় সিরিয়ায় আগত তিউনিসিয়ার নারীদের কেন্দ্র করে। কিন্তু জানা যায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভিত্তিক ভিত্তিক কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের বিকৃত মানসিকতার ফসল হিসেবে এটি আরও আগে শুরু হয়েছিল। তবে তা ছিল গোপনীয় ও অপ্রকাশ্য।

নারীদের অনাগ্রহসহ নানামুখী সমস্যার কারণে এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয়। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রী সংস্থা এবং পাকিস্তান জামায়াতের ওমেন উইং মূলত যৌন জেহাদের প্রাতিষ্ঠানিকরণ।

ইসলামে নারীপুরুষ অবাধ মেলামেশায় বাধা থাকলেও সংগঠনে আবদ্ধ করে সদস্যদের দাসীর মর্যাদা দেয়া হয় এবং এর মাধ্যমে যৌন সম্ভোগ হালাল করার চেষ্টা করা হয়।

উল্লেখ্য, জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী তার বিভিন্ন গ্রন্থে দাসীর সাথে যৌন সম্পর্ককে উৎসাহিত করেছে এমন কি জেনার ক্ষেত্রেও কোরআনে প্রদত্ত শাস্তির সমালোচনা করেছে।

বাংলাদেশে ছাত্রী সংস্থা বহুবার সমালোচিত হয়েছে। নারীদের কাউকে টাকার লোভ দেখিয়ে, কাউকে ইসলাম প্রচারের নামে, কাউকে জোরপূর্বক আবার কাউকে প্রতারণার মাধ্যমে সদস্য করা হয়। জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের ভোগের বস্তু হিসেবেই তারা ব্যবহৃত হয়। বিনিময়ে মাসিক টাকা দেয়া হয় এবং তিউনিসিয়ার নারীদের মত জান্নাতের লোভ দেখানো হয়।

এ বছর বাংলাদেশের ছাত্রী সংস্থার আদলে গড়ে তোলা হয় পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর মহিলা শাখা। ছয় মাস না হতেই মহিলা শাখা বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। রাজিয়া সুলতানা নামের মহিলা শাখার এক সদস্য তাদের এ কুকীর্তি ফাস করেছে।

জানা যায়, পাকিস্তান জামায়াতের এক নেতা রাজিয়াকে নিকাহ করে মহিলা শাখার কার্যক্রমে যুক্ত করে। পরবর্তিতে সে দেখতে পায় মহিলা শাখায় তাকে পতিতাবৃত্তি তথা জামায়াত নেতাদের মনোরঞ্জনের জন্য আনা হয়েছে। তাদের আভ্যন্তরীন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্যমাত্রই দাসী তাই তাদের সম্ভোগ হালাল।

রাজিয়া এ অবস্থা মেনে নিতে না পেরে পালিয়ে নিকটস্থ পুলিশে অভিযোগ করে। কিন্তু পুলিশ আবার তাকে জামায়াতের মহিলা শাখার পতিতালয়ে প্রেরণ করে। এর তিন মাস পর আবার সে পালিয়ে লাহোর প্রেস ক্লাবে অভিযোগ জানায়। পাকিস্তানের ইত্তেহাদ পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিতর্কিত মহিলা শাখা নিয়ে সমালোচনার মুখোমুখী হয়েছে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী।

বাংলাদেশে ছাত্রী সংস্থা সম্পর্কে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি দেয়া উচিত বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। নেতৃত্ব শূণ্যতায় ছাত্রী সংস্থার অনেক সদস্য হোম সার্ভিসে পতিতাবৃত্তিতে যুক্ত হয়েছে বলেও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নারী শক্তি’র আফরোজা নাহার অভিবাবকসহ সকলকে সচেতন করার জন্য সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি এনজিওসহ বিভিন্ন নারী সংগঠকদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহবান জানান।