গণজাগরণ মঞ্চ শুরু হবার পর নাস্তিক ইস্যু তৈরি করে সুফল ভোগ করে এখন আবারও নাস্তিক ইস্যু ও ধর্মীয় উস্কানি সৃষ্টির পায়তারা শুরু করেছে বিএনপি জামাতের প্রচার সেল। জানা গেছে একেএম ওয়াহিদুজ্জামান নামের এক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে প্রধান করে নাস্তিক স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। জামায়াত শিবিরের কয়েকজনকে এই ইস্যুতে সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে কাদের মোল্লার রায়ের পর অনলাইনে ইসলাম বিরোধী যে অপপ্রচার শুরু হয় তার নেপথ্যে কাজ করেছিল বিএনপি জামাতের আর্থিক মদদপুষ্ট কিছু বামপন্থি অনলাইন একটিভিস্ট। তাদেরকে নিয়ে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকও করেছিল। উল্লেখ্য মাহমুদুরের মাধ্যমেই নাস্তিক এবং হেফাজত উভয় পক্ষের সাথে টাকার লেনদেন হয়। গণজাগরণের সংগঠকদের দ্বারা যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারায় হেফাজত সারাদেশে সংগঠিত হবার সুযোগ পায়।
নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে বর্তমানে আবার সেই অপপ্রচারের চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এ অপপ্রচার এখন ফেসবুক কেন্দ্রিক। আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে কয়েকটি ফেক আইডির মাধ্যমে ইসলামবিরোধী অপপ্রচার শুরু হয়েছে।
নাস্তিক স্কোয়াডের মূখ্য ভূমিকা পালনকারী একেএম ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে এপোলো ছাত্রদল কর্মি থাকাকালে ছাত্রশিবির তার পায়ের রগ কেটে লিঙ্গ কাটার চেষ্টা করেছিল যার কারণে পরবর্তিতে সুস্থ হলেও তার লিঙ্গ চিরতরে নিস্তেজ হয়ে যায়। তৎকালীন সময়ের এক ছাত্রদল নেতা জানান, ছাত্রদল করার কারণে পায়ের রগ কাটা হলেও এক জামাত নেতার নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের কারণে লিঙ্গ কর্তনের চেষ্টা করা হয়।
তার এক সহকর্মি জানান, এই ক্ষোভ থেকে সে গণজাগরণে যোগ দিয়েছিল এবং রুমি স্কোয়াডকেও সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপির হাইকমান্ড থেকে হুমকি দেয়ার পর সেখান থেকে সরে আসে এবং জামায়াতের পক্ষে প্রচার শুরু করে।
সম্প্রতি গঠিত নাস্তিক স্কোয়াড তার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি-জামাত সমর্থিত বিভিন্ন গ্রুপ এবং স্কোয়াড মেম্বাররা এর মাধ্যমে সাধারণ অনলাইন ব্যবহারকারীদের ক্ষেপিয়ে তোলার পাশাপাশি ইস্যু তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এই স্কোয়াডের পোস্ট করা বিভিন্ন লেখা হেফাজত ও বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতাদের কাছে পাঠিয়ে সমর্থন আদায়েরও চেষ্টা চালাচ্ছে জামাত শিবির।
এ ঘৃণ্য পদক্ষেপ এখনই রুখে দেয়া না গেলে আবার তৈরি হতে পারে কোন অপপ্রচারের ইস্যু।