যশোর: যশোরের মণিরামপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কলেজ ছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা আবদুল গফুর শিমুলসহ ২ জনের বিরুদ্ধে। যৌনপল্লীতে অভিযান চালিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার মেয়ের বাবা এ ঘটনায় বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।
প্রতারক প্রেমিক মণিরামপুর উপজেলার আবদুল গফুর শিমুলের বিরুদ্ধে এর আগেও সহিংসতার অভিযোগে দু’টি পুলিশ-বাদী মামলা রয়েছে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, ডাঙ্গা উপজেলার ঐ কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ছাত্র শিবির নেতা আবদুল গফুর শিমুল। বিয়ের কথা কথা বলে আবদুল গফুর শিমুল ওই মেয়েকে ফুসলিয়ে দূর্গাপুর ওয়ার্ডের জামাত নেতা আদম আলী ও শিবির নেতা রানার সহযোগিতায় তাকে খুলনার দৌলতপুরে নিয়ে যায়। দৌলতপুরের একটি কাজী অফিসে মনিরামপুর উপজেলা জামাতের আমির ফজলুল হকের ভাই সাক্ষী হয়ে ৫০ হাজার টাকা কাবিনে বিয়ে করিয়ে দেয় তাদের।
এরপর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক সঙ্গে থাকার কথা বলে তাকে ফুলতলায় নিয়ে যায়। যশোর জেলা পশ্চিমের শিবির সভাপতি মহিউদ্দিন ফুলতলার যৌনপল্লীতে নারী বিক্রয় ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। সেখানে প্রেমিক শিমুল তাকে ২০ হাজার টাকায় মহিউদ্দিনের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরদিন মহিউদ্দিন ঐ ছাত্রীকে ৪০ হাজার টাকায় ফুলতলার যৌনপল্লীতে বিক্রয় করে।
এ ঘটনা জেনে ছাত্রীর বাবা স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে। এতে ফুলতলা থানা পুলিশ ২১ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে ওই পল্লী থেকে তাকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়ার পর ওই ছাত্রী পুলিশের কাছে তার ওপর চলা নির্যাতনসহ সব ঘটনার বর্ণনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ আবদুল গফুর শিমুলকে গ্রেফতার করেছে।