সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

সীমাহীন দূর্নীতিতে নিমজ্জিত মতিঝিল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজে

একজন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর, কথাটি যুগযুগ ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে। একজন শিক্ষককে এখনও সমাজে শ্রদ্ধার চোখে দেখেন এদেশের প্রতিটি মানুষ। সেই শিক্ষক যদি তার শিক্ষাকে প্রতারণা দিয়ে শুরু করেন তবে তিনি তার ছাত্র-ছাত্রীদের কি শিক্ষা দিবেন তা অনেকেরই বোধগম্য হয়নি।তেমনি একজন শিক্ষক রয়েছেন মতিঝিল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স এর প্রভাষক চোধুরী এমদাদুল করিম। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলি তদন্তের জন্য ২৪/০৫/০৯ এর ২৫/০৫/০৯ তারিখের স্বারক নং শিম/শাঃ ৫/পরিদর্শন ২৯/২০০৮/১৬৯ তাং- ২২/০৪/২০০৯ এবং ডিআইএ/সিটি/ ৩২৪-এস (তয় খন্ড) ঢাকা/ ৪১২৯/১৩ তাং-১৪/০৫/০৯ ইং।

প্রকাশ থাকে যে, কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ের প্রভাষক চৌধুরী এমদাদুল করিমের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনার্স ও মাষ্টার্স ডিগ্রী নেই। এমন কি নিয়োগের সময় উক্ত বিষয়ে ডিপ্লোমাও ছিল না। নিয়োগে কারচুপি করেই তাকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়ে ছিল। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ০৬/০৭/৯৮ ইং তরিখের ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক নিয়োগের জন্য ২৯/০৭/৯৮ ইং তারিখে দৈনিক ইত্তেফাকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যতা চাওয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাষ্টার্স-পদার্থ, গণিত ও পরিসংখ্যান ও একাউন্টিং-এ মাষ্টার্সসহ ডিপ্লোমা। চৌধুরী এমদাদুল করিম পরিসংখ্যান বিষয়ে অনার্সসহ মাষ্টার্স পাশ। তদন্তকালে তিনি নট্রামস এফিলিয়েটেড জাতীয় যুব কারিগরী প্রশিক্ষণ একাডেমী কর্তৃক প্রদত্ত তিন মাসের প্রশিক্ষণ সনদ উপস্থাপন করেন। ২৯/০৮/৯৮ ইং তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বিত ফলাফলসীটে দেখা গেছে যে, উক্ত পদে দুইজন প্রার্থী। একজন সৈয়দ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অপরজন চৌধুরী এমদাদুল করিম নিজে। যিনি প্রথম হন তিনি পেয়েছিলেন ৫৮.৫ নম্বর। শিক্ষাগত যোগ্যতায় চৌধুরী এমদদুল করিম অপেক্ষা সৈয়দ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এগিয়ে ছিলেন, যা নম্বর ফর্দে উল্লেখ রয়েছে।

ডিজি প্রতিনিধি প্রদত্ত নম্বর ও নম্বরফর্দ যাচাইয়ে দেখা যায়, চৌধুরী এমদাদুল করিমকে প্রথমে ৮ নম্বর প্রদান করা হয়েছিল। উক্ত ৮ নম্বর কেটে পরে ১০ নম্বর প্রদান করা হয় এবং তাকে যুগ্মভাবে প্রথম স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অতঃপর ০১/১০/৯৮ ইং তারিখের গভার্ণির বডির সভার ৪ নং সিদ্ধান্ত মতে চোধুরী এমদাদুল করিমকে কম্পিউটার সায়েন্সে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ০৫/১০/৯৮ ইং তারিখে অধ্যক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র মোতাবেক তিনি ১০/১০/ ৯৮ ইং তারিখে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে যে, কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ সনদের মধ্যে জাতীয় যুব কারিগরী প্রশিক্ষণ একাডেমী সনদে লেখা রয়েছে ‘‘NTRMS’’ বানানটি ভুল । এফিলিয়েটেড প্রদত্ত ৩ মাসের প্রশিক্ষণ সনদটি গ্রহণযোগ্য নয়।

২০০৪ ইং সালের পরিদর্শন প্রতিবেদনে শুধুমাত্র জাতীয় যুব কারিগরী প্রশিক্ষণ একাডেমী প্রদত্ত তিন মাসের প্রশিক্ষণ সনদের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। ঘঞজঅগঝ প্রদত্ত ডিপ্লোমা সনদ অনুযায়ী-০১/০১/৯৮ ইং তারিখ হতে ৩০/০৬/৯৮ ইং তারিখ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। উক্ত সময়কালে চৌধুরী এমদাদুল করিম অধ্যাপক আঃ মজিদ কালেজ মুরাদনগর কুমিল্লায় প্রভাষক কম্পিউটার বিজ্ঞান পদে কর্মরত এবং এমপিওভূক্ত ছিলেন। উক্ত কলেজে সরেজমিনে যাচাই করে জানা গেছে, উক্ত কলেজে কর্মরত ও এমপিওভূক্ত থাকাকালীন উল্লেখিত ডিপ্লোমা সনদ অর্জন করেছেন এবং প্রশিক্ষণকালীন সময়ে (০১/০১/৯৮ হতে ৩০/০৬/৯৮) পর্যন্ত তিনি অধ্যাপক আঃ মজিদ কলেজ হতে কোন প্রকার ছুটি নেননি, এমন কি কলেজ কর্তৃপক্ষের কোন লিখিত অনুমতিও নেননি। তাহলে তিনি কীভাবে এবং কখন উক্ত সনদ অর্জন করেছেন, তা অনেকেরই বোধগম্য হয়নি। উক্ত সনদটি যাচাই করার জন্য NTRAMS বগুড়ায় প্রেরণ করা হলে উক্ত সনদ সম্পর্কে NTRAMS কর্তৃপক্ষ ভিন্নরূপ মতামত প্রদান করেছেন। সনদ পত্রটি জাল/ভূয়া/ ১১/ স্বারক নং নেকটার/ বগ/বেঃ প্রঃ/ ২১৭/৮৭-০২/ অংশ (১১) ৭৩৩ তাং ১৬/০৬/০৯ইং।

মতিঝিল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লক্ষ্য করা যায় যে, দু’জন প্রার্থী সমান ৫৮.৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হন। তন্মধ্যে চৌধুরী এমদাদুল করিম অপেক্ষা শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে থাকা সৈয়দ মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়োগ প্রদান না করায় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় প্রদত্ত ৮ নম্বর কেটে ১০ নম্বর প্রদান করায় চৌধুরী এমদাদুল করিম যুগ্নভাবে প্রথম হন। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম কম নম্বর প্রদান করে পরবর্তীতে বেশী নম্বর প্রদান করার বিষয়টি অপরাধযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হয়েছে বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন। তাছাড়া ১০/১০/৯৮ ইং তারিখ নিঃ কঃ ২৯৭/৯৮ স্বারকে মতিঝিল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ হতে ইস্যুকৃত নিয়োগপত্রটি ১০/১০/৯৮ ইং তারিখেই কীভাবে চৌধুরী এমদাদুল করিম হাতে পেলেন এবং ১০/১০/৯৮ ইং তারিখেই কীভাবে যোগদান করলেন তা বোধগম্য নয়, কেননা অত্র কলেজে চাকুরী প্রাপ্তির জন্য আবেদনপত্রে তার অস্থায়ী ঠিকানা অধ্যাপক আঃ মজিদ কলেজ, কুমিল্লা এবং স্থায়ী ঠিকানা গ্রামঃ মহাদেবপুর, পোঃ ও থানা সীতাকুন্ড, জেলা চট্টগ্রাম উল্লেখ রয়েছে। এ মর্মে প্রতিবেদক সেলফোনে চৌধুরী এমদাদুল করিমকে তার জাল সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অকপটেই বলতে থাকেন, এদেশে টাকা হলেই সব কিছু সম্ভব, যতক্ষন অধ্যক্ষ আমার পক্ষে আছেন আপনারা সারাদিন পত্র-পত্রিকায় লিখে কিছুই করতে পারবেন না। কারণ অধ্যক্ষের পরামর্শেই আমি এখানে চাকুরী পেয়েছি। কম্পিউটার বিষয়ে অর্জিত ডিপ্লোমা সনদটি জাল/ভূয়া মর্মে প্রমানিত হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিমমের বিষয়টি সম্পূর্ন অবৈধ প্রমানিত হওয়ার পরেও তিনি কীভাবে প্রভাষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে তা বিজ্ঞমহলের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রইল।

গভার্ণিং বডির সাবেক সভাপতির সময়ে চৌধুরী এমদাদুল করিমের তদন্ত রিপোর্টটি স্কুলে পৌছানোর পরেও তা অধ্যক্ষ তালিবুর রহমান মিটিংয়ে উপস্থাপন না করে গোপনে তার কাছে রেখে দিয়েছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র আরো জানিয়েছে, তিনি দূর্নীতি করে একাই সময় উভয় প্রতিষ্ঠান হতে এমপিওভুক্ত হয়ে কলেজের বেতন পূর্বের কর্মস্থল আঃ মজিদ কলেজ ও বর্তমান কর্মস্থলের এমপিও ও বেতন উত্তোলন সংক্রান্ত কাগজপত্র অডিট করলে নিশ্চিতভাবে প্রমানিত হবে। সূত্র দাবী করছে, চৌধুরী এমদাদুল করিমের বিরুদ্ধে ডিআইএ অডিট আপত্তি নং-৩৫ থাকা সত্বেও ২ বছর পূর্বের এমপিও অবৈধভাবে চালু করে অবৈধভাবে বকেয়া গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে ডিজি অফিস অধ্যক্ষের মাধ্যমে তাকে ব্যক্তিগতভাবে উক্ত অর্থ ফেরত দিতে বলা হলেও উক্ত অর্থ ফেরত না দিয়ে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে পদ্দোন্নতির চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি জেষ্ঠ্য প্রভাষকদের বাদ দিয়ে নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন। এব্যপারে চৌধুরী এমদাদুল করিমকে সার্বিকভাবে সাহায্য সহযোগীতা করেছেন অধ্যক্ষ তালিবুর রহমান নিজেই। একটি সূত্রে প্রকাশ, উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ উপস্থিতি নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। স্কুল শুরু হয় সকাল সাড়ে সাতটায় কিন্তু তিনি প্রতিনিয়ত সাড়ে দশটা থেকে ১১ টার দিকে আসেন। প্রতিদিন শাখা স্কুলটি ভিজিট করার কথা থাকলেও তিনি তা নিয়মিত করেন না। তবে শাখা স্কুল ভিজিটভাতা ও মর্নিংশিপ্টের ভাতা ঠিকই গ্রহণ করে আসছেন। গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দূর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এলাকার উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষা স্বাস্থ্য সামাজিক উন্নয়ন সবই অবনীত ঘটেছে। তার অত্যাচারে অন্যান্য অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষকগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা চত্ত্বরে ৫ লাখ টাকা খরচ করে একটি শহীদ মিনার করার উদ্যোগ নেন ইউএনও ফিরোজ আহমেদ। এ ব্যাপারে গজারিয়ার সুধীমহল অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে নুন্যতম আলোচনা পর্যন্ত করেনি। অথচ তার অফিসে পিয়ন ও কর্মচারী দিয়ে গজারিয়ার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন যা তিনি নিজে একাই আত্মসাৎ করেন। ইউএনও ফিরোজ আহমেদের অফিসের ঝাড়ুদার সুফিয়া খাতুনকে গজারিয়া অফিস থেকে জোরপূর্বক তার ঢাকার হাজারীবাগ বাসায় নিয়ে এসে জোরপূর্বক যৌনকর্ম করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বাসায় সুফিয়া খাতুনকে অনৈতিক কাজের করার চেষ্টা করলে সুফিয়া খাতুন উক্ত বাসা থেকে কৌশলে পলিয়ে এসে গজারিয়া অফিসে যোগ না দিয়ে স্বইচ্ছায় চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে যায়। পদাধিকার বলে ইউএনও ফিরোজ আহমেদ ৫টি মাদ্রাসা ও ২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি। এ সুবাধে স্কুল/মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিত্য অফিসে ডেকে এনে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ।

শিক্ষকরা সপ্তাহে শুক্রবার একদিন সরকারী ছুটি পান। অথচ ইউএনও শুক্রবার উপজেলার শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেন। শিক্ষকরা তার কথামত না চললে তাদের উপর চলে নির্যাতন ও হয়রানী। সামান্য অভিযোগে গত ১৫ মার্চ ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরকে ১ মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করেন তিনি। অবশেষে প্রধান শিক্ষক আঃ কাদের দরখাস্ত দিয়ে চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে যান। গত ৪ এপ্রিল গজারিয়া বাতেনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ মুক্তার হোসেনকে বিনা কারণে ১ মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করেন। এছাড়া একাধিক শিক্ষককে ইউএনও বিনা কারণে নোটিশ দিয়ে হয়রানী করছেন বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। তিনি গজারিয়া বাসা ভাড়া দেন ৭ হাজার টাকা। ঢাকায় আরেকটি বাসা রয়েছে, ভাড়া দেন ১০ হাজার টাকা। তার আয়ের সাথে ব্যয়ের মিল নেই। উক্ত ইউএনও সারা সপ্তাহ গজারিয়তেই থাকেন। বৃহস্পতি তার সন্তানদের স্কুল বন্ধ হলে সরকারী গাড়ী ব্যাবহার করে সপরিবার গজারিয়ায় নিয়ে আসেন আবার শনিবারে স্কুল কলেজ খুললে ইউএনও সরকারী গাড়ী ব্যাবহার করে পরিবার-পরিজনদের ঢাকায় পাঠান। এভাবে সরকারী গাড়ীর সরকারী জ্বালানী পোড়ান মাসে হাজার হাজার টাকা। এভাবে তিনি সরকারী টাকার অপচয় করছেন। মেঘনার ৪/৫ টি পয়েন্টে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। বালু উত্তোলনের জন্য এ সিন্ডিকেট থেকে ইউএনও ফিরোজ আহমেদ মোটা অংকের মাসহারা পান।

অন্যদিকে ইউএনওকে ম্যানেজ করে গজারিয়ার শাখা নদী ভাটেরচর নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। মেঘনা নদী এলাকায় ইসমানিরচর, জামালদি, ভলাকি, আশ্রাবদি এলাকার দেশের কয়েকটি নামী দামী কোম্পানী নদীর ২শ গজ গভীর তলদেশের জায়গা কিনে নিচ্ছে দালাল চক্রের মাধ্যমে। নদীর মাঝে এই সব জমি আশে পাশের গ্রামের মানুষজনের। এ সব জায়গা কারো কাছ থেকে জোর করে কারো বা পানি দামে কিনে নিচ্ছে শিল্প কারখানার মালিকরা। এক্ষেত্রে গজারিয়া সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে এসব জমি বা মেঘনার তলদেশ দলিল হচ্ছে। এক্ষেত্রে সাবরেজিষ্ট্রার কর্মকর্তা ও গজারিয়া উপজেলার ইউএনও জড়িত। ইউএনও ফিরোজ আহমেদ বাংলাদেশ জামাতের বড় একনেতার আত্মীয় বলে জানা গেছে। লোকের কাছে বলতে শোনা গেছে, তার বিরুদ্ধে লিখে কোন কাজ হবেনা। জামাতের নেতা আত্মীয় তাকে রক্ষা করবে।