সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

। আক্রান্তদের নিয়ে জামায়াতের বোম্বিং স্কোয়াড!



ছাত্রী সংস্থায় এইডস আতঙ্ক

সম্প্রতি মাখসুদা আক্তার ও মমতাজ খানম নামের ছাত্রী সংস্থার দুই সদস্যের প্রাণঘাতি এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সংগঠনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মাখসুদা আক্তারের এক আত্মীয় মুখসুদা ও অপর সদস্য মমতাজ খানমের এইডসে আক্রান্ত হওযার ঘটনাটি প্রকাশ করায় বিব্রত জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। এইডসে আক্রান্ত ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের প্রকৃত সংখ্যা কত তা জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে অনেকেই এইডসে আক্রান্ত। এ ব্যাপারে জামায়াতের পক্ষ থেকে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অপরাধ কন্ঠের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা গেছে ইসলামের লেবাসধারী এ সংগঠনের যৌনতার চাঞ্চল্যকর কাহিনী। জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের মনোরঞ্জনের জন্যই মূলত গড়ে তোলা হয়েছিল ছাত্রী সংস্থা। এছাড়াও বিশেষ কিছু সদস্যদের নির্বাচন করা হয় বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছ থেকে সুবিধা আদায়ে। তাদের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে চুপ রয়েছে অনেকে।

জামায়াত জন্মনিয়ন্ত্রনকে সমর্থন না করলেও সাবেক শিবির নেতা ও দিগন্ত টিভির কর্মকর্তা কর্তৃক এক উপস্থাপিকা গর্ভবতী হয়ে পড়লে জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি অনুসরণের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের অলিখিত নির্দেশ দেয়া হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হিসেবে কনডম ব্যবহারে অনাগ্রহের কারণে ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের বার্থ কন্ট্রোল পিল খাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা কনডম ব্যবহার না করে ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের সাথে অবাধ যৌনাচারই এইডসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ।

উল্লেখ্য ছাত্রী সংস্থার নারীদের দাসী হিসেবে গণ্য করে তাদের সাথে সহবাসের বৈধতা মতিউর রহমান নিজামী প্রদত্ত ফতোয়া। ফতোয়ায় আরও উল্লেখ ছিল, মনোরঞ্জনকারী ছাত্রী সংস্থার সদস্যরা জান্নাতে যাবে।

সম্প্রতি ছাত্রী সংস্থার দুই সদস্যের পারিবারিক সূত্রে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ ফাঁস হয়েছে। সংবাদ গোপন রাখতে বড় অংকের টাকাও বরাদ্দ রেখেছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা এইডস আক্রান্ত বহু সদস্যকে বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্র শিবিরের এক বহিস্কৃত নেতা জানিয়েছে, জামায়াত ও শিবিরের নেতাদের মাঝেও এইডস রোগী আছে। তাদের বিপুল সংখ্যক নেতা নানাবিধ যৌনরোগে আক্রান্ত।

এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এইডস আক্রান্ত ছাত্রী সংস্থা ও ছাত্র শিবিরের সদস্যদের নিয়ে অতি গোপনীয়তার সাথে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিক হয়েছে। জামায়াতের ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান তাদেরকে তওবা পড়িয়ে ইসলামী বিপ্লবের জন্য ধুকে ধুকে মৃত্যুবরণ করার চেয়ে আন্দোলনে শহীদ হতে উদ্বুদ্ধ করেছে। বর্তমানে জামায়াত শিবিরের বোমা-স্কোয়াডের নেতৃত্বে এইডস আক্রান্তদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তারা সুইসাইড বোম্বিং এর মত ঘটাতে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

জামায়াতে মহিলা সদস্যের বিধান না থাকলেও আফগানিস্তানে উদ্ভব যৌন জেহাদের বিকৃত ধারণায় গড়ে ওঠা ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের যৌনকর্মীর মতো ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গৃহীত হয় নাই। নারীবাদি সংগঠন ও কিছু এনজিও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের বিরত রাখা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বদ্ধমূল ধারণা গত চার বছরে সহিংসতায় জামায়াত শিবিরের নিহতদের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হলে তাদের মাঝে এইডস রোগী পাওয়া যেত বলে।