সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

কোরবানীর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ দরিদ্রদের দেয়ার নিয়ম প্রচলিত। এটি ব্যক্তি পর্যায়েই করা হয়। কিন্তু এবার জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির কোরবানীর মাংস বিতরনের নামে তোলা চাদার টাকা লুটপাট করে যে ন্যাক্কারজনক কাজ করলো তা সর্বত্র ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।



ইসলামে গোপনভাবে দান করাকে উৎসাহিত করা হলেও লুটপাটের টাকা জায়েজ করতে লোক দেখানো দান করছে শিবির

শীর্ষনেতারা কারাগারে থাকায় টাকার প্রয়োজনে ছাত্র শিবিরের নেতাদের মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরণের অপকর্ম করার সংবাদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এবার মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহায় গরীবদের নামে অর্থ লুটপাটের মত অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে তারা।
জানা গেছে, শিবিরের সাংগঠনিক ভিত্তি আছে এমন প্রায় সব এলাকায় গরীবদের মাঝে মাংস বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করে। এই অযুহাতে সদস্য ও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা উঠানো হয়। এছাড়াও মাংস বিতরণের নামে বিভিন্ন হাটে চাদাবাজি, চামড়া ব্যবসায়ীদের থেকে চাদা দাবি ও গরু ব্যবসায়ীদের থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করেছে তারা। এমন কি মসজিদ মাদ্রাসায় দানের নাম করে চামড়া সংগ্রহ করে তা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে নিজেরা টাকা আত্মসাত করেছে।

সংগৃহিত টাকার একটি অংশ জেলা জামায়াতের আমীরের কাছে পাঠিয়ে বাকি টাকা নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। টাকার সিংহভাগ সংশ্লিষ্ট সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পেয়েছে বলে জানা গেছে।
ঈদের দিন লোক দেখানোর জন্য শিবিরের বিভিন্ন শাখার অর্থ লুটপাটকারী নেতারা মাত্র আট দশ কেজি মাংস বিতরণ করে কর্মসূচি শেষ করে। কিছু কিছু শাখায় গরীবদের দান হিসেবে পাওয়া মাংস কম মূল্যে ক্রয় করে “গোস্ত বিতরণ কর্মসূচি” নাম দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিবিরের এই কর্মকাণ্ড বিভিন্ন স্থানে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে। শিবির কতটা ধর্ম মানে বা জানে এ প্রশ্নও তুলেছে অনেকে।