সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

নেত্রীর যৌন লালসায় প্রতারিত অসংখ্য তরুণ!


জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রী সংস্থার নেত্রী ফাতেমা সুলতানা অভিনব কায়দায় তরুণদের যৌন লালসা দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়ার কৌশলে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রেমের মায়াজালে আটকে নগদ টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার লুট ও পরে মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে অবশিষ্ট দেনমোহরের মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় তুলেছেন। জানা যায়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রী সংস্থার প্রচার সম্পাদক ও স্কুলশিক্ষিকা তার রূপ ও যৌবনের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মাত্র ২৫ বছর বয়সে চার স্বামীর ঘর শেষ করে পঞ্চম স্বামীর গলায় প্রতারণার মালা পরাতে গিয়ে ফেসে গেছেন।
চলতি বছরের ৭ মার্চ তারিখে পরকীয়া প্রেমিক ও জামায়াতের উপজেলা নায়েবে আমীর হারুন-উর-রশিদের সাথে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকা অবস্থায় স্থানীয় জনতা তাদের হাতেনাতে আটক করে তবলছড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে। আর এ সুবাদে পরিচয় ঘটে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে। প্রতারক এ ছাত্রী সংস্থার নেত্রী ছাত্র শিবিরের ক্যাডারদের পুলিশের কাছ থেকে ছাড়াতে ও অর্থের লোভে সুযোগ পেয়ে হাত ছাড়া করতে একটু ও দেরি করেননি।
এলাকাবাসী জানায়, প্রথমে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয় রামগড় প্রবাসী খালাত ভাই শামছুল হকের সাথে। বিয়ের ২ বছরের মাথায় তার ঘরে আসে একটি পুত্র সন্তান। স্বামী বিদেশ থাকার সুবাধে ৩ বছরের মাথায় জামাত নেতার সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তিনি। স্বামীর দেয়া চার ভরি স্বর্ণালংকার ও বিদেশ থেকে পাঠানো প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পরকিয়া প্রেমিক আমিনের হাত ধরে সন্তান ফেলে বাবার ঘরে আশ্রয় নেন। পরে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে মোহরানার টাকাও আদায় করে নেন তিনি । এ অভিযোগ তার প্রথম স্বামী শামছুল হকের।
ছাত্রী সংস্থার এই নেত্রীর দ্বিতীয় বিয়েও পরকীয়া প্রেমের কারণে বেশি দিন টেকেনি। ফেনী পিটিআইতে প্রশিক্ষণ থাকাকালীন জনৈক শ্রী সুজন সেনের সাথে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকা অবস্থায় স্বামী জাকির হোসেনের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের হাতেনাতে আটক করে আদালতে পাঠায়। আদালতে ২৯০ ধারায় অপরাধ স্বীকার করায় তাদের ৫০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয় আদালত। (যার মামলা নং- নন. জিআর ২৪৮/২০০৭)।
জাকির হোসেন জানান, জাতিসংঘের মিশনে গিয়ে ১০ লাখ টাকা আয় করেছি। তিনি বলেন, সে ও তার বাবা পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার মাধ্যমে আমার অর্জিত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একইভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সব কিছু হাতিয়ে নিয়েছে তার তৃতীয় স্বামী আনোযার হোসেনের সর্বস্ব।এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নেয়ার পর অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এ বিষয়ে বাধা প্রদান করায় সে ও তার বাবা মিলে আমার বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল আদালতে মিথ্যা যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে তিনি প্রায় দেউলিয়া বলেও জানান উল্লেখ করেন তিনি।

এলাকাবাসীর ধারণা জামাতে ইসলামীর দু:সময়ে সংগঠনের জন্য সে এ প্রতারণার পথ বেছে নিয়েছে। ফাতেমার মত আরও কতজন ছাত্রী সংস্থার নেত্রী এ ধরণের অনৈতিক কাজে জড়িত তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সচেতন মহল।