সাঈদীর রায়ের পর থেকে জামায়াত শিবিরের সহিংসতা ও নৈরাজ্যে অসংখ্য মানুষের প্রাণ হারানো ছাড়াও আহত হয়েছে প্রায় ২২ হাজার মানুষ। তাদের একজন সোনাগাজীর আসমা। বোমায় দুই হাতের কব্জি হারালেও লেখাপড়া চালিয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। শুধু তাই নয় শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত আরো যে বিশ মিনিট সময় দেয়া হয়, তা নিতেও রাজি নয় আসমা।
সোনাগাজীর ওলামা বাজার হাজী সেকান্দর মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সে।
মা ছালেহা বেগম প্রতিদিনি সোনাগাজী শহরের বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন পরীক্ষা দি
তে। আর কব্জিতে থেমে যাওয়া দুই হাতে কলম ধরে লিখে আছমা।
উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম চরচান্দিয়া গ্রামে এক দিনমজুর পরিবারে জন্ম আছমা আক্তারের। জন্মের এক বছর পরই তার বাবা আজহারুল হক মারা যান।
ছালেহা বেগম জানান, জামায়াতের আহুত হরতালে ককটেল ছুড়ে মারলে আছমার হাতে তা বিস্ফোরিত হয়।
“সেখানেই দুটি হাতের কব্জির উপরের অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় সে।”
কব্জি হারিয়েও কোনরকম সুস্থ হবার পরই পড়ালেখা অব্যহত রাখে। চিকিৎসা এ পড়াশুনার খরচ চালাতে একমাত্র সম্বল ভিটেটুকু বিক্রি করে দিতে হয়।
পরীক্ষাকক্ষে অদম্য আছমা দুই হাতে কলম নয়, যেন নিজের ভবিষ্যতকেই আকড়ে ধরেছেন।