সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ডিসিদের অধীনে পৃথক পুলিশ ইউনিট


৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের অধীনে পৃথক পুলিশ ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। এ জন্য প্রতিটি জেলা প্রশাসকের অধীনে একজন ইন্সপেক্টরসহ ২২ জন করে ইউনিট সৃষ্টির একটি প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিষয়ে তাদের কোনও কিছু জানা নেই।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকদের কার্যালয় থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, চোরাচালান প্রতিরোধে টাস্কফোর্সের অভিযান, উচ্ছেদ অভিযান, ভেজালবিরোধী অভিযানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার কাজ আরও দ্রুত ও ফলপ্রসূভাবে সম্পন্ন করা যাবে। এসব অভিযানে যথাসময়ে পুলিশ ফোর্স না পাওয়ায় অভিযান অনেক ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হয় না।

২০১৩ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা তাদের অধীনে স্থায়ীভাবে এক প্লাটুন ফোর্স মোতায়েন বা আলাদা পুলিশ ফোর্স ইউনিট গঠনের প্রস্তাব করেন। তারা এ-ও বলেন, পুলিশের সীমিত জনবল দিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। কোনও অভিযোগ এলে তাদের নিজস্ব ফোর্স না থাকায় অভিযোগ তদন্ত করা যাচ্ছে না। পুলিশ কর্মকর্তাদের বললে তারাও তা আমলে নেন না। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও অধিকাংশ সময়ে পুলিশ কর্মকর্তারা অনুপস্থিত থাকছেন। মাঠপর্যায়ে তাদের তদারকি করার কেউ না থাকায় তারা চলছেন ইচ্ছেমতো।

প্রস্তাবের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) নাজিমউদ্দিন চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, প্রস্তাবটি প্রথমে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে উত্থাপিত হয়েছিল। পরে এ-সংক্রান্ত নতুন জনবলের পদ সৃষ্টি করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের অধীনে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর, দুজন এসআই, দুজন এএসআই, ১৬ জন কনস্টেবল, একজন সুইপারসহ মোট ২২ জন জনবলের নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে।