সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

সাঈদীর জেহাদী বই: কারাগারে নারী সম্ভোগসহ সকল সুবিধা দিয়েছে ফরমান আলী!

বিশেষ প্রতিবেদক: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কারাগার থেকে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি ও সশস্ত্র জেহাদে নামার আহবান জানিয়ে ‘নন্দিত জাতি, নিন্দিত গন্তব্যে’ নামের একটি বই লিখেছেন যা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

গ্লোবাল পাবলিশিং নেটওয়ার্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই জেহাদী বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে অনুসন্ধানে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাঈদীকে জেলার ফরমান আলী বই লেখায় সহায়তা ছাড়াও মোবাইল ব্যবহারের সুবিধা থেকে শুরু করে নারী সম্ভোগের সুযোগও দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক ডেপুটি জেলার জানান – কারা-প্রশাসনে প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের অনেকেই বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের স্বল্প সংখ্যক কর্মকর্তা কোণঠাসা হয়ে আছেন। এ কারণে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা বাড়তি সুবিধা, এমন কি অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধাও ভোগ করে যা কারাবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

জানা গেছে ফরমান আলী জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ঘনিষ্ঠ এবং জামায়াতের সাথে জড়িত। জামায়াতের পক্ষ থেকে তাকে বিপুল অংকের টাকা দেয়া হয়েছে। গত এক বছরে ফরমান আলী নতুন গাড়ি এবং ফ্ল্যাট ক্রয় করেছে। শুধুমাত্র এই বই প্রকাশে সহায়তার জন্য ফরমানকে দেয়া হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা।

ডেপুটি জেলার অভিযোগ করে বলেন, সাঈদীকে কারাগারের খাবারের বদলে বাসা থেকে আনা খাবার সরবরাহ করা হয়। যখন ইচ্ছা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পান। তার কক্ষে উন্নতমানের ফ্যান ও টিভি ছাড়াও অবৈধভাবে সিডি/ডিভিডি দেয়া হয়েছে। নাতনী ও আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে সপ্তাহে তিন/চার দিন বিভিন্ন নারীরা তার সাথে সাক্ষাত করতে আসে এবং তিন ঘণ্টার জন্য কাউকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে নারীদেরকে সাঈদীর সাথে রাতে থাকার সুযোগও দেয়া হয়।

ডেপুটি
জেলার চ্যালেঞ্জ করে বলেন, সাঈদীর কক্ষ তল্লাশি করা হলে কনডম ও পর্নো সিডি পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য জামায়াত নিয়ন্ত্রিত কারা-প্রশাসন নিয়ে ইতিপূর্বেও বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সুযোগ সুবিধা দানের পাশাপাশি অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে কোন অঘটন ঘটানো হলে এর দায় সরকারের উপর বর্তাবে। তাই যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে অভিমত জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ।