বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধে সহিংসতা ও দেশজুড়ে সৃষ্টি করা অরাজক পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে খালেদা জিয়ার সাথে কোন প্রকার সংলাপ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি মনে করেন, সন্ত্রাসবাদের সাথে আপোষ এ অঞ্চলে শান্তি বিনষ্ট করবে। আমাদের নয়াদিল্লী সংবাদাতা জানান, বাংলাদেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি সহিংসতার বিরুদ্ধে গৃহীত সিদ্ধান্তে শেখ হাসিনার প্রশংসা করে সন্ত্রাস দমনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ওবামার বিদায়ের পর যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ট্রু নিউজের সাথে সাক্ষাতে মোদি দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখতে তালেবান জঙ্গি ও জামাতে ইসলামীকে দায়ী করেন। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, জামাতে ইসলামীকে নির্মুল করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারকে সকল সহযোগিতা দিয়ে যাবে ভারত।
এদিকে নয়াদিল্লী সূত্র জানা গেছে, প্রয়োজনে খালেদাকে আইনানুযায়ী গ্রেফতার না করে অলিখিতভাবে অবরুদ্ধ করে রাখতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছেন মোদি।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্পর্শকাতর এ টেলিফোন আলাপ নিয়ে কোনো পক্ষই মুখ খুলতে রাজি নন। তবে, সরকারি একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, শক্ত হাতে অরাজকতা বন্ধ করতে মোদি সকল সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। কোকোর অনাদায়কৃত ১৯ কোটি টাকা উদ্ধারে খালেদার উপর চাপ প্রয়োগ করে দক্ষিণ এশিয়ার ভাবমূর্তি উজ্জল করার অনুরোধ করেন নরেন্দ্র মোদি।
মোদির টেলিফোনালাপ প্রকাশের পর বিএনপির নেতৃবৃন্দ আরো ভীত হয়ে সংলাপের চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক লবিস্টদের কাছেও ধর্না দিচ্ছে। তবে সরকার সংলাপের ব্যাপারে নমনীয় হবে না বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
