মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে এলেও বিএনপির নির্মমতার কাছে হেরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এক রোহিঙ্গা পুরুষ। সংবাদ ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান এর।
কক্সবাজারে জাকির সালাম নামে এক রোহিঙ্গা শেণার্থীকে শিশু চুরির অভিযোগ এনে নির্দয় ভাবে প্রহার করে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের যুবদল নেতা হরমুজের বাড়িতে খাবারের জন্য গিয়েছিল ওই রোহিঙ্গা জাকির। এ সময় তার চার বছরের ছেলেকে না পেয়ে জাকিরকে শিশু চোর হিসেবে সন্দেহ করে। হরমুজ তার অনুসারী নেতাকর্মীদের ডেকে আনলে রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মাটিতে ফেলে কিল-ঘুষি, লাথি ছাড়াও গাছে বেঁধে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত যুবদল কর্মীরা। ঘটনাস্থলেই জাকিরের মৃত্যু হয়।
রোহিঙ্গা এই ব্যক্তিকে গণপিটুনির দৃশ্য ধারণ করেছেন বার্তাসংস্থা এপির এক আলোকচিত্রী।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চারদিক থেকে উত্তেজিত জনতা তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করছে। এসময় তিনি আঘাত থেকে বাঁচতে প্রাণপণ চেষ্টা চালান।
গণপিটুনির এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
নিস্তেজ শরীরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েও রেহাই মেলেনি তার। পরে তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করা হয়।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান বলছে, ২০ জনেরও বেশি মানুষ ওই রোহিঙ্গা ব্যক্তির ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে অনেক তরুণ ছিল। রোহিঙ্গা ওই ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বাঁধার আগে প্রাণভিক্ষা চান তিনি।
যুবদল নেতা হরমুজের বিরুদ্ধে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। আরো জানা গেছে হরমুজের শিশু পুত্রকে তার ভাইয়ের বাড়িতে পাওয়া গেছে।