সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছেন খালেদা জিয়া



বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পর এবার খালেদা জিয়া নিজেই অনুধাবন করতে পারছেন যে তার এই অবস্থার জন্য তারেক রহমানই প্রধানত দায়ী। উল্লেখ্য ২০০৮ সালে জিয়া এতিমখানা নিয়ে মামলা হওয়ার পর খালেদা জিয়ার ব‍্যক্তিগত সচিব সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে তারেকের পরামর্শেই এতিমখানার নামে অনুদান চাওয়া হয়।

ফালু আরও বলেছিলেন, এতিমখানার নামে এফডিআর করা ফান্ড দেখিয়ে ৭০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল তারেক রহমান। অতঃপর ২০০৬ সালে সলিমুল হক, সৈয়দ আহমেদ ও গিয়াস উদ্দিনের নামে একই টাকা ট্রান্সফার ও এফডিআর করে তিনটি ভুয়া কোম্পানির নামে সোনালী ব‍্যাংক থেকে দেড়শ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছিল। এছাড়া কোকো জাহাজ ও ডান্ডির নামে ২০০৭ সালে তারেকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার কোটি টাকা।

এদিকে জেল থেকে মুক্তি বিলম্বিত হলে অবিলম্বে হাসপাতালে যেতে চাচ্ছেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়ার সঙ্গে পাঁচ আইনজীবীর সাক্ষাতে বিএনপির চেয়ারপারসন এই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
আইনজীবীরা খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন তারেকের উপর অর্থ আত্মসাতের দায় চাপিয়ে দিতে।

যে আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। আইনজীবীরা বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ব্যক্তিগত চিকিৎসককে দিয়ে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার আবেদন করেছেন।

শনিবার বিকেলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সহ পাঁচ জন আইনজীবী বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জেলখানার একাধিক সূত্রগুলো বলছে, শুক্রবার কিছুটা শান্ত থাকলেও শনিবার অনেকটাই অস্থির হয়ে উঠেছেন বেগম জিয়া। সকাল থেকে অন্তত আটবার কারাগারের লোকজনকে ডেকে নানা সমস্যার কথা বলেছেন। মাঝে মধ্যেই মেজাজের খেই হারিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করেছেন।

বেগম জিয়া তাঁর আইনজীবীদের কাছেও তারেকের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা বলেছেন।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে বেগম জিয়াকে যে কক্ষ দেওয়া হয়েছে, তা আধুনিক সাঁজসজ্জায় সজ্জিত। কিন্তু বেগম জিয়া কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন, তার শোবার খাটটি যথেষ্ট নরম নয়। বেগম জিয়া সার্বক্ষণিক গরম পানি চান। কিন্ত তেমন ব্যবস্থা কারাগারে নেই। কারাগারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁর জন্য নিয়মিত পানি গরম করে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং আলাদাভাবে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেগম জিয়া তাঁর কক্ষে রক্ষিত টেলিভিশনে হিন্দি চ্যানেল বিশেষ করে স্টার প্লাস এবং পাকিস্তানের নেট জিও চ্যানেল দেখতে চান। কিন্ত কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারে ডিশ সুবিধা নিয়ন্ত্রিত। এখানে শুধু বাংলাদেশি চ্যানেল দেখানো যায়। আইনজীবীরা আসার আগে বেগম জিয়া কারাগারের বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে আইনজীবীদেরও তিনি একই অভিযোগ করেছেন।

কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত বেগম জিয়ার বড় কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা যায়নি। তবে কারা কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মচারীর কাছে তারেক রহমান ও বিএনপি নেতাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার কারাগারে আসার পর কোথাও বিক্ষোভ মিছিল ও জোরদার কর্মসূচি ঘোষণা না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন।