সাভারের আশুলিয়ায় গোপন শক্তি বাড়াতে কবিরাজের হালুয়া খেয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন আরও দুজন। নিহতরা হলেন সাবেক শিবির নেতা মোতালেব ও জামায়াতকর্মী জিল্লু রহমান।
অসুস্থ তিন জনের মধ্যে শামীমুর রহমান শামীম বিএনপির সহদফতর সম্পাদক এবং ফরিদউদ্দিন ২০ দলীয় জোট ও এনএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া শাহীবাগ মহল্লার অধিবাসী মোকলেছুর রহমানের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি।
বুধবার দিবাগত রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থরা সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আশুলিয়া থানার এসআই শাহিনুর ইসলাম জানান, দিবাগত রাতে করিবাজের তৈরি গোপন শক্তিবর্ধক হালুয়া খান ওই দুই জন। এর পর তাদের বমি শুরু করে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে জিল্লু ও মোতালেবের মৃত্যু হলে পরে সেখানে জানা যায় অপর তিন জন একই হালুয়া খেয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- যৌনশক্তি বর্ধক হালুয়ার বিষক্রিয়ায় এমন ঘটেছে।
অসুস্থ মোকলেছুর রহমান জানান, বিএনপি নেতা শামীম সাংসারিক অশান্তির কথা জানালে গত বুধবার সাবেক শিবির নেতা মোতালেব তাকে কবিরাজ ফরিদ শাহ চন্দ্রপুরীর ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় জিল্লুর তার কাছে থাকা হালুয়া দেখান।
শামীম কবিরাজের হেমায়েতপুরের চেম্বারে যেতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন ও মোখলেছও তার সাথে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কবিরাজকে গ্রেফতারের সংবাদ জানা যায়নি। নিহত বা আহতদের পক্ষ থেকে কোন মামলা না হলেও পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।