সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ইনডেমনিটি বাতিলে অস্বীকৃতি খালেদা জিয়ার অমানবিকতার দৃষ্টান্ত

 


১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেবল স্বপরিবারে হত্যাই করা হয়নি বরং এই হত্যাকাণ্ডের যেন বিচার না হয় সেজন্য বিচারের পথরুদ্ধ করতে ইনডেমনেটির মতো ঘৃণ্য একটি অধ্যাদেশ জারি হয়। খন্দকার মুশতাক আহমদের মাধ্যমে জারি হলেও এর দায় মূলত জিয়াউর রহমানের। মোশতাকের জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে বৈধতা দেয়া হয়। অন্যথায় ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল সামরিক আইন প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই ১৫ আগস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেত। জিয়াউর রহমানই ব্যবস্থা নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি ব্যবস্থা নেয়া দূরে থাক, ভবিষ্যতে কেউ যাতে ব্যবস্থা না নিতে পারে সে ব্যবস্থা করে দিলেন এবং ঐ সময়ে একটি প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে গেল যে, যেহেতু এটি সংবিধানের অংশ হয়ে গেছে, কাজেই এটি আর পরিবর্তন করা যাবে না।

বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন শপথ নেন তখন তার সামনে সুযোগ এসেছিল এই কালো আইনটি বাতিল করার। আওয়ামী লীগের এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল এর জন্য বিল এনেছিলেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলে অস্বীকৃতি জানান। বরং খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করেছেন। সামরিক স্বৈরাচারদের ভোট ভোট খেলায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এমপিও বানানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার অমানবিকতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত এটি।

এদেশে কারা খুনের রাজনীতি প্রবর্তন করেছে, কারা খুনিদের রক্ষার বিধান সংবিধানে যুক্ত করে সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে, কারা এদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, সেই ইতিহাস জানা দরকার। এটা জানা দরকার গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণ ও ভবিষ্যতের স্বার্থে।