সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

রাজাকার ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষক খালেদা জিয়া



স্বাধীনতা বিরোধী বা বাংলাদেশ-বিরোধী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি ও দল, বিশেষত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির মৈত্রী দীর্ঘদিনের। জিয়াউর রহমান প্রথম এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করেন। এমনকি কুখ্যাত স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করেন জিয়া। জিয়ার মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়া কুখ্যাত রাজাকারদের অন্যতম ছিলেন মসিউর রহমান, সামসুল হুদা, মির্জা গোলাম হাফিজ, শফিউল আলম ও আব্দুল আলিম। স্বাধীনতাবিরোধীর গাড়িতে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দিতে বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলেন কিনা কে জানে! 

খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃত্বে আসার পর এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। অনেক চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করেন তিনি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী জামাতে ইসলামের সঙ্গে সমঝোতা করে প্রথমবার নির্বাচনী বৈতরণী পার হন খালেদা জিয়া। সেবার তার মন্ত্রিসভায় স্থান পায় রাজাকার আবদুর রহমান বিশ্বাস, আবদুল মতিনসহ একাধিক যুদ্ধাপরাধী।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোটার বিহীন নির্বাচনে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদকে এমপি করে এনে এই জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল, আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা বানান।

২০০১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী জামাতের সঙ্গে প্রকাশ্য নির্বাচনী জোট গড়ে আবারো ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়া। মন্ত্রিসভায় স্থান দেন শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধী জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামী এবং সেক্রেটারি জেনারেল ও আলবদর প্রধান মুজাহিদ আলী আহসান মুজাহিদকে। আরেক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে করেন সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সরাসরি বিরোধিতা করে তিনি বলেন, "নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী তো নয়ই; স্বাধীনতাবিরোধীও নয়। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে।"

তার বক্তব্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও ভ্রুক্ষেপ করে নি বিএনপি। বরং সেই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই আন্দোলনে নামার নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া।

দল ও ব্যক্তিস্বার্থে অন্ধ হয়ে থাকা ব্যক্তিরা ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেও ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে নি, ক্ষমা করবে না।