সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

খালেদার পাকিস্তান প্রীতি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বৈরিতা


জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘আজকে বলা হয় মুক্তিযুদ্ধে এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। আসলে কত লোক শহীদ হয়েছে এটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পর সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। খালেদা জিয়ার বক্তব্য যুদ্ধাপরাধ এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এমন মন্তব্যের কারণ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে স্বেচ্ছায় বন্দিত্ববরণ করেছিলেন।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা তৎকালিন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়ার সুন্দরী স্ত্রীকে জোর করে (মতান্তরে স্বেচ্ছায়) ধরে নিয়ে গেলো। ২ লক্ষ মা-বোন হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হলেও একমাত্র খালেদা জিয়া ক্যান্টমেন্টে সুরক্ষিত ছিলেন। মেজর হাফিজের বইতে উল্লেখ আছে মেজর জিয়া সেই সময়ে ৪ বার খালেদা জিয়াকে আনতে পাঠালেও খালেদা জিয়া আসেননি।

জিয়া তাকে গ্রহন করতে চাননি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল হৃদয়ের মানুষের কথায় জিয়া খালেদাকে গ্রহন করে। এর ১০ বছর পর জিয়াউর রহমানকে সেনা অভ্যুত্থানে হত্যা করা হয়। খালেদা রাজনীতিতে এসে সাইদি, নিজামি, মুজাহিদের মত একাত্তরের রাজাকারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুরানো পাকিস্তান প্রেম জাগ্রত রাখেন।
তিনি রাজাকারদের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় যান।
তিনি ১৯৯১ সালে নির্বাচনের জন্য পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছ থেকে গ্রহণ করেন পাঁচ কোটি রূপী।
তিনি জাঞ্জুয়ার মৃত্যুতে কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গ করে শোক প্রকাশ করেন।
সেই খালেদা জিয়াই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময় আশ্রয় গ্রহণ করেন পাকিস্তান দূতাবাসে।

২০১৩ সালে যখন সারা দেশ রাজাকারের ফাসির দাবিতে উত্তাল, তখনও খালেদা জিয়া তার পাকিস্তান প্রেম কে দেশ প্রেমের উপরে রেখে জামাত তথা রাজাকারের পক্ষে থাকলেন।
খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক ও কোকোর জন্মও পাকিস্তানে। তাই বন্ধন মোটেই হালকা নয়।