সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

বিয়ের প্রলোভনে মালয়েশিয়া নেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গা তরুণীদের




বিয়ের প্রলোভন অথবা উন্নত জীবনের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। বিশেষ করে, ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা নারীদের পাচারে টার্গেট করছে দালালচক্র। নারীদের বিনা খরচে নিলেও পুরুষদের কাছে আদায় করা হচ্ছে টাকা।

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টাকালে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে মহেশখালীর সোনাদিয়া থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজারে আনা ১৪৯ রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই এমন তথ্য দিয়েছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা তরুণীরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক সক্রিয় একটি দালাল চক্র সাগরপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ট্রলারে তোলে। পরে সোমবার এসব রোহিঙ্গাদের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়াদ্বীপে নামিয়ে দেয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের ৫টি ট্রলারে করে সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে মঙ্গলবার ভোররাতে কক্সবাজারস্থ বাঁকখালী নদীর ৬নং ঘাটে আনা হয়।

সরেজমিনে বাঁকখালী নদীর ৬নং ঘাটে দেখা যায়, কারও বয়স ১২, কারও বয়স ১৬; আবার কারও কারও বয়স ১৮ এর বেশি। আর যাদের বয়স ২৫ এর বেশি তাদের কোলে এবং হাতে রয়েছে শিশু। ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে দালালদের হাত ধরে টেকনাফ উপকূল দিয়ে ট্রলারে উঠে রোহিঙ্গারা। আর দীর্ঘ ১০-১২ দিন সাগরে ট্রলার ভাসিয়ে অবশেষে সোমবার বিকেলে মালয়েশিয়া পৌঁছায় বলে নামিয়ে দেয় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সোনাদিয়া উপকূলে।

উদ্ধার হওয়া ১৬ বছরের রোহিঙ্গা তরুণী ফাতেমা বলেন, বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছি; স্বামী মালয়েশিয়ায় মোবাইলে ঠিক করা আছে। মালয়েশিয়ায় গেলেই আমাদের বিয়ে হবে।

উদ্ধার হওয়ার ১৫ বছরের আরেক তরুণী আছিয়া বলেন, ‘ক্যাম্পে বিয়ে দিতে কষ্ট হচ্ছে, মা-বাবা বলেছে চোখে যেদিকে যেতে পার সেদিকে চলে যাও। আল্লাহর উপর ভরসা করে মালয়েশিয়ায় ট্রলারযোগে রওনা হয়েছিলাম। পরে সোনাদিয়া থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।’

উদ্ধার হওয়া আরেক রোহিঙ্গারা নারী খতিজা বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় আত্মীয়-স্বজন আছে, তারা নিয়ে যাচ্ছে তাই চলে যাচ্ছি। এখন যেহেতু দেশে যেতে পারছি না। আর ক্যাম্পেও থাকতে ইচ্ছে করছে না। তাই মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি।’

কক্সবাজার মহেশখালীর (সার্কেল) সহকারি পুলিশ সুপার আবু তাহের ফারুকী বলেন, সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের পেছনে কারা জড়িত তা তথ্য সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর উদ্ধার হওয়ার রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।