সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

তারেকের ঋণ কেলেঙ্কারি ও রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট

 


তারেক রহমান, কোকো, খালেদা জিয়া ও তার ভাই সাঈদ ইস্কান্দার সহ বিএনপির  কয়েকজন নেতার ১৫টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে ৩২১ কোটি ৫২ লাখ টাকা মন্দ পর্যায়ে খেলাপি ঋণ।

তথ্য অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকে ড্যান্ডি ডায়িংয়ের বকেয়া ৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যার পুরোটাই মন্দ পর্যায়ের খেলাপি ঋণ। ড্যান্ডি ডায়িংয়ের পরিচালকেরা হলেন খালেদা জিয়ার দুই ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো, ভাই প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দার, খালেদা জিয়ার সন্তানদের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মোজাফফর আহমেদ ও নাসরীন আহমেদ।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের প্রতিষ্ঠান প্রিকাস্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের কাছে এবি ব্যাংকের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যার পুরোটাই মন্দ পর্যায়ের খেলাপি ঋণ। মামুনের আরেক প্রতিষ্ঠান খাম্বা লিমিটেডের কাছে জনতা ব্যাংকের বকেয়া ২৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর পুরোটাই মন্দ পর্যায়ে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত। এর সবই দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের নির্দেশনামাফিক বাস্তবায়ন হয়।

এছাড়া ওয়ান স্পিনিং মিলের কাছে প্রাইম ব্যাংকের বকেয়া আট কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৬৫ লাখ টাকা বকেয়া আর আট কোটি দুই লাখ টাকা মন্দ ঋণ। ওয়ান স্পিনিং মিলের কাছে সোনালী ব্যাংকের বকেয়া ঋণ ৫৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর পুরোটাই মন্দ ঋণ। ওয়ান ডেনিম লিমিটেডের কাছে জনতা, ব্যাংক এশিয়া, ডাচ্-বাংলা, ইবিএল, সাউথইস্ট এবং সিটি ব্যাংকের বকেয়া ১৭০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর পুরোটাই মন্দ ঋণ। এ ছাড়া জনতা ব্যাংক ওয়ান স্পিনিংয়ের কাছে বকেয়া ২৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পায়।

মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী ওমপ্রকাশ আগরওয়াল মার্কেন্টাইল, আইএফআইসি, এনসিসি ও ওয়ান ব্যাংক থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পালিয়ে যান। ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে তারেকের সুপারিশ ছিল বলে জানা যায়। তারেকের ব্যবসায়িক অংশীদার মামুনের বন্ধু নুরুন্নবী ২০০৫ সালে ভুয়া রপ্তানির নামে ৬৯৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। ঘটনাটি জানাজানি হয় ২০০৭ সালে। এম. নুরুন্নবী বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যাংক শাখা থেকে স্থানীয় ঋণপত্রের (এলসি) স্বীকৃতি (অ্যাকসেপট্যান্স) দিয়ে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ বের করে নেন। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দুদক মামলা করে।

২০০৫ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকে এ ব্যাংকের উদ্যোক্তারা নানা অনিয়ম করে ৫৯৬ কোটি টাকা তুলে নিয়েছিলেন। এক্ষেত্রেও তারেক, মামুন ও হারিছ চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। 

ঋণ ও সুপারিশ সহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে আদায় করা টাকার ভাগ জোবায়দার কাছেও যেত। স্যানট্যান্ডার ব্যাংক ইউকে’তে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে তারেক রহমান এবং জোবায়দা রহমানের তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৫৯ হাজার ৩৪১ দশমিক ৯৩ ব্রিটিশ পাউন্ড স্থানান্তরের অভিযোগে জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধেও দুদকে মামলা হয়।

দুর্ণীতির পাশাপাশি তারেকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনাগুলো ফিল্মের কাহিনী থেকে কোনো অংশে কম নয়।