সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

এতিমের টাকা চুরি করতেও দ্বিধা করেন নি তারেক রহমান


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করে মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধী হিসেবে আখ্যা পেয়েছেন। এ মামলার আসামি তারেক রহমানের হাত পর্যন্ত টাকা কীভাবে পৌঁছায়, তার ধারাবাহিক বিবরণ রয়েছে আদালতের রায়ে। 

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক লিখেছেন, আসামি কাজী সালিমুল হক ওরফে কাজী কামালের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য থেকে এটি পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়—৫টি চেকের সিগনেটরির নির্দেশ অনুযায়ী এফডিআরগুলো করা হয়। এসব এফডিআর নিয়ে আসামি তারেক রহমানের অফিসে পৌঁছে দেন। বস্তু প্রদর্শনী আই (জি), আই (এইচ), আই (জে), আই (এল) এবং আই (এন) পর্যালোচনায় পরিলক্ষিত হয়, ওই ৫টি চেকের সিগনেটরি ছিলেন আসামি তারেক রহমান ও মমিনুর রহমান। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, এই আসামির হাত হয়ে সরকারি এতিম তহবিলের টাকা তারেক রহমানের হাতে চলে যায়। 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো অস্তিত্বই ছিল না তখন। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা তোলার পর, তারেক রহমান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার নামে ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা দিয়ে ২.৭৯ একর জমি ক্রয় করা হয়। এরপর ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ বছরেও সেই জমিতে কখনোই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো ভবন ও অফিস নির্মাণ করা হয়নি। এমনকি দেশের এতিমদের কল্যাণে সেই টাকা ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও তারা সেই অর্থ কোনো কল্যাণমূলক কাজেও ব্যয় করেনি। টাকাগুলো ব্যাংকে অলস ফেলে রেখে, সেটাকে জামানত দেখিয়ে নিজেরা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করেছে।

এতিমদের জন্য বরাদ্দ সেই অর্থ সুদে-আসলে বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৯ হাজার ৭৫২ টাকায় পরিণত হয়। ছয়টি চেকে ৩ কোটি ৩০ হাজার টাকা গুলশানের প্রাইম ব্যাংকে ট্রান্সফার করে ফিক্সড ডিপোজিট করে তারেক রহমান। ২০০৬ সালের ১২ এপ্রিল, ১৫ জুন, ৪ জুলাই- এই তিন তারিখে চেক ছয়টির মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী সলিমুল হক/ কাজী কামালের নামে সেই এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট) খোলা হয়।

খালেদা ও তারেকের মতো ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক দুর্নীতি রাষ্ট্রের অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করে এবং এর খারাপ প্রভাব সমাজের প্রতিটি স্তরে সংক্রমিত হয়।