সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

বাস্তুহারা খালেদা জিয়ার সম্পদ ও কালো টাকা

 


২০০৭ সালে মইনুল রোডের বাড়ি ছাড়ার সময় খালেদা জিয়া নিজেকে বাস্তুহারা দাবি করেছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী হয়েও খালেদা কালো টাকা সাদা করেছিলেন! কালো টাকার কথা উল্লেখ না করে একজন বাস্তুহারা মানুষের কত কালো টাকা রয়েছে তার পরিসংখ্যান দেখা যাক:

২০১৮ সাল পর্যন্ত হলফনামায় দেওয়া তথ্যে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৪ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩০ টাকা। 

খালেদার সম্পদের বিবরণী অনুযায়ী জানা যায় -

১. খালেদা জিয়ার নামে রাজধানী ও সাভারে দুটি বাড়ি ও দুটি জমি রয়েছে। এর তৎকালীন মূল্য ছিল প্রায় ৮০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।

২. জিয়ার মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে এরশাদ ১০১ টাকায় ক্যান্টনমেন্টের ৬, শহীদ মইনুল রোডে ২ দশমিক ৭২ একর জমির ওপর একটি বাড়ি দেন ও গুলশানে এক বিঘা ১০ কাঠা ১১ ছটাক জমিসহ আরেকটি বাড়ি দেন।

৩. খালেদার নিজ নামে অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে ১১টি ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) ও ২টি স্থায়ী আমানত রয়েছে। ১১টি এফডিআরে লাভসহ তিনি এক কোটি ৬৫ লাখ ১৫ হাজার ১০৫ টাকা, ৮টি ব্যাংক স্থিতি ও সঞ্চয়পত্রে দেখিয়েছেন এক কোটি ৮৯ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৯ টাকা দেখিয়েছিলেন।

৪. খালেদার ব্যবহৃত গাড়ির তালিকায় রয়েছে: ১টি নিশান পেট্রোল, দু’টি টয়োটা করোলা, দু’টি টয়োটা জিপ ও ১টি নিশান জিপ।

৫. মইনুল সড়কের বাসায় পাঁচটি বড় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ছোট আরও ৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ৭ সেট সোফা, ২০টি ল্যাম্প, একটি খাট, ৩টি কার্পেট, ৩টি টিভি, ৫০ তোলা স্বর্ণের হিসাব দেখানো হয়েছে। 

১৯৯১ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়া কালো টাকা সাদা করেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী এডভোকেট আহমেদ আযম খান দুদক সচিব মোঃ. মোখলেস-উর-রহমানের কাছে সম্পত্তির হিসাবের বিবরণী দাখিল করেন। দৈনিক ইত্তেফাক ৭ই আগস্ট, ২০০৭ সালে "খালেদা জিয়ার দুটি বাড়িসহ ৪ কোটি টাকার সম্পদ" শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে। সেদিনের অন্যান্য পত্রিকা থেকেও জানা যায় যে খালেদা জিয়া ১ কোটি ৩২ লাখ কালো টাকা সাদা করেছেন যেটা একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার জন্য মোটেও সম্মানের নয়। 

খালেদা জিয়া ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার আবেদন করেছিলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কর অঞ্চল-২ এর ২১ নং সার্কেল অফিসে গিয়ে এনবিআর নির্দেশিত ফরমে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার আবেদন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী এডভোকেট আহমেদ আজম খান। সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস তা গ্রহণ করে। 

খালেদা জিয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে এসআরও-৯৮ অনুযায়ী শতকরা ৫ ভাগ হারে জরিমানাসহ প্রায় ৩৪ লাখ টাকার আয়কর দিয়ে পাঁচ বছরে অবৈধভাবে অর্জিত ১ কোটি ৩৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১০ টাকা সাদা করেন।

সূত্র: (দৈনিক সমকাল- ৭/৮/২০০৭) 

একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি কালো টাকা সাদা করে জাতির জন্য তারচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক কিছু হতে পারে না।