সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

১৫ আগস্টে ভুয়া জন্মদিন পালন রাজনৈতিক ইতিহাসে নিকৃষ্টতম নজির


অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতালোভী শ্রেণির কাঙ্ক্ষিত স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় বিশ্বাসঘাতকতা করে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় যার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়ার রেখে যাওয়া বিএনপির কর্ণধার হিসেবে রাতারাতি ক্ষমতায় আসীন হওয়া খালেদা জিয়া শুরু করেন নতুন নতুন নাটক। আর এই নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ভুয়া জন্মদিন পালন’।

শুধু ভুয়া জন্মদিন পালন করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, ভুয়া জন্মদিনের তিনি বড় বড় কেক কাটার উৎসব করেছিলেন যেন শোকের আবহ নষ্ট হয়। 

খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি তারিখ পাওয়া গেছে যা শেষপর্যন্ত হাইকোর্টে গড়িয়েছে। তার এসএসসির নম্বরপত্রে জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। বিবাহ নিবন্ধনে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ৯ অগাস্ট ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেওয়া তার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ৫ অগাস্ট ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ৮ মে ১৯৪৬। আর তিনি জন্মদিন পালন করেন ১৫ অগাস্ট, জাতীয় শোক দিবসে। এই উদযাপনে মিশে থাকে প্রতিহিংসা, মিথ্যা ও ইতিহাস বিকৃতি।

বিয়ে, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভিন্ন ভিন্ন তথ্যে বেগম জিয়ার পাঁচটি ভিন্ন জন্মতারিখের সন্ধান পাওয়া যায়। ফলে তথ্যগত যায়গায় ১৫ আগস্ট যে তার প্রকৃত জন্মদিন নয় এটি প্রমাণিত সত্য। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার জন্মদিন দলের নেতাকর্মীরা পালন করবেন সেটি স্বাভাবিক। কিন্তু তার সত্যিকারের জন্মদিন আসলে কোনটি তা এক গোলক ধাঁধা। একেক সময় একেক তারিখ সামনে আসায় বিষয়টি সাধারণের মনে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।

একজন মানুষ কতটা অমানবিক হলে একজন মানুষের মৃত্যু দিবসে ভুয়া জন্মদিনের উৎসব করেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটিই বেগম খালেদা জিয়ার অমানবিকতার আরেকটি উদাহরণ।