শ্রমিক কর্মচারীদের আইনজীবীকে ১২ কোটি টাকায় কেনার অভিযোগ উঠেছে ড۔ ইউনূসের বিরুদ্ধে। ড۔ ইউনূসের কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা করেছিল গ্রামীণ টেলিকমের সংক্ষুব্দ শ্রমিক কর্মচারীরা। এই মামলায় এমন কিছু বিষয় উঠে আসে যার কারণে ড۔ ইউনূসের কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকম যেকোনো উপায়ে শ্রমিক- কর্মচারীদের সঙ্গে আপোষ মিমাংসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। এ লক্ষ্যে প্রায় তিনশো কোটি টাকা দিয়ে তার কোম্পানি শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে আপোষ মীমাংসা করে এবং শ্রমিক কর্মচারীরা তাদের মামলা গুলো প্রত্যাহার করে নেয়। জানা যায়, ঐ মামলাগুলোতে ড۔ ইউনূসের কোম্পানির বিরুদ্ধে এমন কিছু বেআইনি ও অনৈতিক বিষয় উঠে আসে, যেগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ঐ কোম্পানির কর্ণধারের বিরুদ্ধে তীব্র জনমত তৈরী হতে পারে। মূলত সেকারণেই মামলা গুলো প্রত্যাহার করাতে মরিয়া হয়ে উঠে ড۔ ইউনুস এবং সংশ্লিষ্টরা।
ড۔ ইউনূসের কোম্পানির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়ার পর আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক ইউনিয়ন ফান্ড থেকে ড۔ ইউনূসের বিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলীকে ১২ কোটি দিয়েছে গ্রামীণ টেলিকম। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, এই টাকা মূলত ঘুষ হিসেবে দেয়া হয়েছে।
আইনজীবীর মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের আপোষ মীমাংসায় রাজি করানোর বিষয়টি প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলেও মূলত আইনজীবীদের বেআইনি ও অনৈতিকভাবে পক্ষে রাখার উদ্দেশ্যে এবং পাশাপাশি বেআইনি ও অনৈতিক কিছু কাজ করানোর জন্য এই বিপুল টাকা দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
ইতোপূর্বে গ্রামীণ টেলিকমের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা সরাসরি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শ্রমিক কর্মচারিদের দাবির বিষয়ে দেশের মন্ত্রী, সচিব এবং সংশ্লিষ্টদের প্রভাবিত করার জন্য ড۔ ইউনূসের কোম্পানি বিপুল পরিমান অর্থের ব্যবস্থা রেখেছে। গ্রামীণ টেলিকমের উক্ত কর্মকর্তার বক্তব্যের এই অডিও ও ভিডিও দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। এই নিয়ে তখন দেশে হৈচৈ পড়েছিল । বাংলাদেশী একটি কোম্পানি কীভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে টাকা দিয়ে কেনার জন্য বিপুল পরিমান অর্থ প্রস্তুত রাখে এবং সেই কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তি কোনোরূপ রাক ঢাক না করে সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করে- সেটি দেশের মানুষ গণমাধ্যমে দেখে অবাক হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে একজন আইনজীবীকে ১২ কোটি টাকা দেয়ার বিষয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তারা বলছেন, বিপক্ষের আইনজীবীকে টাকা দেয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় । উপরন্তু ১২ কোটি টাকার মতো বিপুল পরিমান অর্থ আইনজীবীর ফী হতে পারে না । তাহলে এই ১২ কোটি টাকা কেন দেয়া হলো এবং এই টাকা কারা পেলো? আইন অঙ্গনের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, বিপক্ষের আইনজীবীকে এই বিপুল পরিমান টাকা দেয়ার ঘটনাটি একটি বেআইনি কাজ। এই বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন সহ দেশের অন্যান্য ফিনান্সিয়াল রেগুলেশন এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার।