সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

দুর্নীতির অভিযোগে জোবায়দাকে পলাতক ঘোষণা করেছে আদালত


ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের করা মামলার আসামি তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেছে আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে ২০০৮ সালে আদালতে আত্মসমর্পন না করে হাইকোর্ট কিভাবে এ মামলা শুনালেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (১ জুন) তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের দুনীর্তি মামলার ১৬ পাতার রায়ে এসব বিষয় তুলেন ধরেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

পলাতক আসামি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে কোনো আবেদন করতে পারবে না উল্লেখ করে আপিল বিভাগ বলেন, ২০০৮ সাল থেকেই পলাতক হিসেবে গণ্য হবেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা। হাইকোর্টের দেওয়া আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দার আত্মসমর্পণের আদেশ বাতিল করেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ লিখিত রায়ে বলেছেন, পলাতক আসামির মামলা শুনে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আইন বহির্ভূতভাবে জোবায়দাকে দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত সুবিধা।

জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে, একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন এবং এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর, রিট মামলাগুলো গত ২০ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

আদালতে তারেক রহমান ও জোবায়দার পক্ষে তাদের আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেয়ায়, দুদকের আইনজীবী প্রশ্ন তুলে বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। তখন আদালত বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন কি না, ৫ জুন এ বিষয়েও শুনানি হবে।

উল্লেখ্য, জোবায়দা রহমানকে এর আগে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।