সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউসের নাম ভাঙ্গিয়ে মুশফিকের প্রতারণা

 


জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউস নিয়ে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার চালিয়েও যিনি বহাল তবিয়তে আছেন তার নাম মুশফিক ফজল আনসারী। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব। বিএনপির নেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় অনেক কর্মসূচিতেই তাকে নিয়মিত দেখা যায়। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তিনি বিএনপি নেতা ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হারিছ চৌধুরীর ভাগ্নে।

মার্কিন সিনেট সদস্যদের নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ছাড়াও জাতিসংঘ র‍্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে বা বাংলাদেশের উপর ব্যান আরোপ করা হচ্ছে - এ জাতীয় বহু গুজবের হোতা ফজল আনসারীর মিথ্যাচার কিছু সংবাদপত্রেও প্রকাশ হয়।


মূলত কোটি টাকা দিয়ে বিএনপি জামাত যে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে তাদের সহযোগিতায় সাংবাদিকতার নামে প্রতারণামূলক অপকর্ম চালিয়ে আসছে ফজল আনসারী। আর এর বিনিময়ে বিএনপির কাছ থেকে সে কোটি টাকা মাসোহারা পেয়ে থাকে।


মুশফিক ফজলের পরিচয় কি?

মুশফিক ফজল আনসারী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব। তবে মুশফিক ফজলের পরিচয় তিনি জাস্ট নিউজ বিডির হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি ও জাতিসংঘ প্রতিনিধি। কিন্তু নিজেকে বাংলাদেশের প্রথম হোয়াইট হাউস/জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলে দাবি করেন।


জাস্ট নিউজ নামের কয়েক হাজার টাকা দামের একটা ওয়েবসাইট খুলে জাস্ট নিউজের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি হয়েছেন। কিন্তু জাস্ট নিউজের সম্পাদক-প্রকাশক হয়ে হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ নিলেন বিষয়টি হাস্যকর না? মতিউর রহমান বা কোনো সম্পাদকই নিশ্চয়ই প্রথম আলো/তার পত্রিকার হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি হওয়ার মর্যাদা চাইবেন না! প্রতারক বলেই এটি করছে।


'জাস্ট নিউজ বিডি' নামে ওয়েবসাইটকে কেন্দ্র করে তার সকল অপকর্ম চলে। তিনি নিজেকে সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফরেন প্রেস সেন্টারের মিডিয়া ক্রেডেনশিয়াল এবং জাতিসংঘের অ্যাক্রিডেশন কার্ড গ্রহণ করেছেন।

মুনাফিকের পথ ধরে কনক সারোয়ার নিজেকে আমেরিকার ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের সদস্য হয়েছেন দাবি করেছে। 

তবে এমন পরিচিতি কেউ চেষ্টা করলেই পেতে পারে। ৩০০ ডলার ফি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেস ক্লাবের সদস্য হওয়া যায়।

https://www.press.org/membership


 জাস্ট নিউজের মতো নিউজ পোর্টাল খুলে হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধি হওয়াও কঠিন কিছু নয়।

ফি দিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধি হতে নিবন্ধন করা যায়।

https://whca.press/news/


জাতিসংঘের প্রতিনিধি হওয়ার লিংক 

https://indico.un.org/register/


https://unca.com/join-unca/


সাংবাদিক পরিচয়ে জাতিসংঘ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা মন্তব্য এবং বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পক্ষে নানা প্রশ্ন করেন তিনি। আবার বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানেও দলটির নেতা ও অতিথি হিসেবে যোগ দেন।  


এ জাতীয় প্রতারকরা অশিক্ষিত মানুষদের কাছে বিশ্ববরেণ্য সাংবাদিক হিসেবে বাহবা পেতেই পারেন। কিন্তু আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে যারা এই প্রতারকদের ধোঁকায় পড়ছেন তাদের উচিত জেনেশুনে রিপোর্ট করা। প্রতারক শাহেদের বাংলাদেশের অনেক ক্ষমতাধরদের সঙ্গে ছবি/সেলফি তুলে নিজেকে জাহির করার অপচেষ্টা চালাতো। এমন সুযোগ পাশ্চাত্যে আরও উন্মুক্ত। নির্দিষ্ট অংকের ডোনেশন দিলে প্রেসিডেন্টের ইনভাইটেশনও পাওয়া যায়। একই কাজ করছে মুশফিক ফজল আনসারী। সাংবাদিকতার নামে মুশফিক ফজল আনসারী মূলত প্রতারণা করছে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অত্যন্ত জরুরী।


সাংবাদিক পরিচয়ে মুশফিক ফজল যা করছে তা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাংবাদিকতার নীতি বহির্ভূত। সে যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করছে তার প্রতিটির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং নিজেকে নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা দেয়া ব্যক্তি জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউসের নামে প্রতারণা করছে। এর আগেও কানাডার দুজন সংসদ সদস্যের কাছে প্রশ্ন করে তা কানাডার বক্তব্য হিসেবে প্রচার করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এমন গুটিকয়েক প্রমাণসহ অভিযোগ দিলেই তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পথ ত্বরান্বিত হবে।