গণচাঁদার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন রনি!
সকল ইস্যুকে রাজনৈতিক ও আর্থিক স্বার্থসিদ্ধির মাধ্যমে পরিণত করতে সচেষ্ট নুরুল হক নুরু আবার প্রত্যাখ্যাত হলেন। রেলওয়ের দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির পাশে আন্দোলনে বসতে চেয়েছিলেন গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর। তবে তার সাথে আন্দোলন না করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন রনি। এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় নিজেদের এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে বক্তব্য প্রদান করে, শেষ দিকে ছাত্রদের সঙ্গে ভীড়তে চেয়েছিলেন নুরু। তখনও তিনি ছাত্রদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন।
রবিবার (২৩ জুলাই) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির সঙ্গে সংহতি জানাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সন্ধ্যার পর গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরু। এ সময় নুর রনির সাথে আন্দোলনে বসতে চাইলে রনি সেখান থেকে উঠে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, নুরুল হক নুরু আন্দোলন চালিয়ে যেতে রনিকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এছাড়া প্রবাসী অধিকার পরিষদ থেকেও অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু রনি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
গণ অধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে কোটা আন্দোলনের সময় থেকেই গেঞ্জি ব্যবসা ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। ত্রাণ সহায়তার নামেও সংগৃহীত অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে নুরুদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সংবাদও কয়েকবার প্রকাশিত হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, রনিকে ব্যবহার করে বড় অংকের টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্য টের পেয়ে নুরুকে প্রত্যাখ্যান করেছেন রনি। পরে নুর ও তার সমর্থকরাও ঘটনাস্থল্প ত্যাগ করেন।
এ প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন রনি বলেন, আমার আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এটি সাধারণ মানুষের আন্দোলন। যেহেতু এতদিন আমি একাই আন্দোলন করেছি।
'সাপকে বিশ্বাস করা যায় নুরুকে নয়' বলে মন্তব্য করে মহিউদ্দিন রনি বলেন, আমি চাইনি এই সময় এই আন্দোলনকে কেউ রাজনৈতিক রূপ দিক। সেজন্য আমি নুরের সাথে আন্দোলনে বসেনি।
রনির সময়োপযোগী এ সিদ্ধান্তকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।