সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

প্রথম আলোর শিশু-শোষণ ও অপপ্রচার - শাস্তির দাবি করছে জনগণ


শিশু-শোষণ যে কোনো আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু প্রচারে শীর্ষে দাবি করা দৈনিক প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে জনমনে বিরূপ ধারণা তৈরির লক্ষ্যে ছোট একটি শিশুর হাতে ১০ টাকা তুলে দিয়ে মিথ্যা গল্প প্রচারের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া নকল নাম ব্যবহার করে স্কুল পড়ুয়া শিশুটিকে দিনমজুর বলা হয়েছে। শিশুটি মাছ, মাংস ও চালের স্বাধীনতা চায় বলে দৈনিকটি দাবি করে। তবে সচেতন মানুষদের সক্রিয় প্রতিবাদের কারণে সেই মিথ্যাটি আর প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি প্রথম আলো। ঘটনাটিকে অনেকে স্বাধীনতার পর দেশ পূনর্গঠনের সময়কালের বাসন্তী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

১৯৭২-৭৫ সালে পুরো সময় ধরে এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে ১৫ আগস্টের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। ৩০ টাকা দামের শাড়ির অভাব দেখাতে আটশ টাকা দামের জাল পরিয়ে ছবি তুলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অপপ্রচার চালায় স্বাধীনতা বিরোধী দালালরা। এবারও গুজব প্রচার করে মূলত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে যা ফৌজদারি অপরাধ। কিন্তু এই অপরাধটি গুরুতর 'child exploitation' বা শিশু-শোষণের কারণে।

একটা শিশুর হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাকে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা শুধু অনৈতিকই নয়, আইনবিরুদ্ধও বটে। প্রথম আলোর এই অপরাধ আন্তর্জাতিক আইনেরও লঙ্ঘন।

ইতোপূর্বে প্রথম আলোর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের একজন ছাত্র বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিল। এজন্য প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে শিশু হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শিশু হত্যার পর এবার তার বিরুদ্ধে শিশু-শোষণের অভিযোগ উঠেছে। নবীনগরের সবুজ নামের একটি শিশুকে জাকির হোসেন বলে উল্লেখ করে স্কুল ছাত্রটিকে দিনমজুর বলে অপপ্রচার করা হয়েছে।

যা ইচ্ছা তা-ই প্রকাশ করাকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলে না। স্বাধীনতা বলতে অপরের অধিকার ক্ষুণ্ণ না হওয়ার বা না করার শর্তের উপরও নির্ভরশীল। সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ছোট একটি শিশুকে টাকা দিয়ে ছবি তুলে অপপ্রচার ও দেশের স্বাধীনতাকে হেয় করার অধিকার কাওকে দেয়নি রাষ্ট্র।

অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত প্রথম আলোর এ জাতীয় কর্মকাণ্ড ফৌজদারি অপরাধ। সংবাদের নামে গুজব অপপ্রচার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা কোন সুস্থধারার সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে না।

সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে কলঙ্কিত করার দায় প্রথম আলো সম্পাদককে অবশ্যই নিতে হবে। তাই সংশ্লিষ্ট ফটো সাংবাদিকই শুধু নয়, প্রথম আলোর সম্পাদককেও আইনের আওতায় আনা উচিত।