সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

হিরো আলমের ওপর হামলার নেপথ্যে!


হিরো আলমের ওপর ঠিক কোন কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মাসব্যাপী বীরদর্পে প্রচারণা চালিয়ে, নির্বাচনের দিন মারমুখী ভঙ্গিতে বিভিন্ন কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছেন আলম। কিন্তু ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার মুহূর্তে সংঘটিত হামলা কেন এ সম্পর্কে কেউ বলছেন নারীদের সঙ্গে সেল্ফি তোলা নিয়ে, কেউ বলছে টিকটকারদের পাওনা টাকার জন্যে, অনেকে বলছেন উগ্র আচরণের কারণে তরুণ ভোটারদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, আবার অনেকে ষড়যন্ত্রের গন্ধও পাচ্ছেন।

একটি সূত্রের মতে,  হিরো আলম বনানীর বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে প্রবেশ করে নারী ভোটারদের দিকে বার বার আড়চোখে তাকাচ্ছিলেন। আলমের এ হেন আচরণ প্রত্যক্ষ করে দুই নারী ভোটার বন্ধুদের ক্ষ্যাপাতে হিরো আলমের সাথে সেল্ফি তোলে। সেল্ফি তোলার পর হিরো আলম তার সহকারি পরানকে সেল্ফি তোলা দুই নারীর একজনের খোঁজ নিতে বলে। অভিনয়ের সুযোগ দিবে এমন প্রস্তাব দিয়ে 'শ' অদ্যাক্ষরের উক্ত তরুণীর কাছে মোবাইল নম্বর চাইলে সে তার বন্ধুদের জানায়। তরুণীর এক বন্ধু ক্ষুব্ধ হয়ে আলমের কেন্দ্রে আসার কারণ জিজ্ঞেস করে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। এক পর্যায়ে হিরো আলম ও তার সহযোগীরা আক্রমণাত্মক হয়ে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় উক্ত যুবকের বন্ধুরা জড়ো হয়। ধারণা করা হচ্ছে তাদেরকে খবর দিয়ে আনা হয়েছে।

পুলিশ উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়লে বিদ্যানিকেতন থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে হিরো আলম। 

এদিকে একজন টিকটকার দাবি করেছেন, কেন্দ্রে প্রবেশের সময় ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির জন্য তিন হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া করে টাকা না দেয়ায় ৮/৯ জন ইউটিউবার/টিকটকারের সাথে হিরো আলমের সহকারী রনি ও আল আমিনের কথা কাটাকাটি হয়। এর আগে সাংবাদিকসহ উপস্থিত কয়েকজন ভোটারের সঙ্গেও উগ্র আচরণ করে আলম। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হিরো আলমকে চড় থাপ্পড় দেওয়া হলেও তবে গুরুতর আঘাত করার অভিপ্রায় কারোই ছিল না বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। আলমের সহকারীরা ভিডিও ধারণ করার পরিবর্তে তাকে রক্ষার চেষ্টা করলে হয়তো আরও কম মার খেতেন আলম।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হিরো আলম মাসব্যাপী অবাধে ঘুরে বেরিয়েছেন, কোথাও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। অনেক স্থানেই তিনি উগ্র আচরণ করেছেন, কিন্তু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনের সারাদিনও আলম অবাধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন, এমন কি তাকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি স্বীকার করেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে তার নেপথ্যে উগ্র আচরণ বা নারীপ্রীতির কারণে ভোটারদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে নেপথ্যে কোনো ষড়যন্ত্র ছিল কিনা তাও অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।