সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আবারও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি!

 


বিএনপি এক দফা দাবিতে গাবতলী থেকে কল্যাণপুর, শ্যামলী হয়ে গণভবনের সামনে দিয়ে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছিল। পরবর্তীতে পদযাত্রার রুট ঘুরিয়ে গাবতলী মিরপুর ১ নম্বর হয়ে ১০ নম্বর গোলচত্বর হয়ে শেওড়াপাড়া কাজীপাড়া হয়ে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত নির্ধারণ করে। 

বিএনপির এ পদযাত্রার ফলে শহরজুড়ে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হয়। জনদুর্ভোগ চরমে ওঠে। বিএনপির উগ্র নেতাকর্মীরা পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপের কারণে ভেস্তে যায় বিএনপির নৈরাজ্য ও সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা।


পদযাত্রার প্রাক্কালে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল ও একটি বাইসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপির কর্মীরা। এছাড়া গাবতলী থেকে বিএনপির পদযাত্রা যাওয়ার সময় পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। 

এদিকে কিশোরগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রা থেকেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা শহরের রথখোলা বিএনপি কর্মীদের আক্রমণে আহত হয়েছেন পুলিশের অন্তত ১০ সদস্য।

এছাড়া পিরোজপুরেও পদযাত্রা চলাকালীন বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। শহরের সার্কিট হাউস সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় পুলিশের ৭ সদস্য আহত হন। তাঁদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলায় জড়িত ১০ জনকে আটক করে। 


বিএনপি পদযাত্রার নামে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও সাংগঠনিক সক্ষমতা ও জনবিচ্ছিন্নতার কারণে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ২০১৪-১৫ সালেও বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছিল বলে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে। এবারও তারা সহিংস পন্থা অবলম্বন করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে তারা সফল হবে না বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।