সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

গয়েশ্বর ও আমানকে হত্যা করতে চেয়েছিল বিএনপি!


গত ২৮ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে সহিংসতা সৃষ্টি করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।  এ লক্ষ্যে বিএ্নপি দু'টি সন্ত্রাসী গ্রুপকে ভাড়া করা করেছিল।  কিন্তু পুলিশের তড়িৎ পদক্ষেপের কারণে ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়। 

একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির মূল লক্ষ্য আন্দোলন কর্মসূচির নামে সহিংসতা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীলপরিবেশ সৃষ্টি করা।  এর আগেও নাগরিক জোটের মাহমুদুর রহমান মান্নার একটি কথোপকথন ফাঁস হয়েছল যেখানে তিনি আন্দোলন জোরদার করতে রাজপথে লাশ ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।  

জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরণের সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

সূত্র মতে, গত ২৮ জুলাই ধোলাইখাল ও গাবতলী এলাকার অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির ভাড়া করা দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অংশগ্রহণ করেছিল।  অবস্থান কর্মসূচির ধারণকৃত বিভিন্ন ভিডিওচিত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে পুলিশের পাশাপাশি গয়েশ্বর রায়ের ওপরও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।  এ নিয়ে গয়েশ্বরের সঙ্গে কয়েকজন নেতাকর্মীর হাতাহাতিও হয়।  ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ যথাসময়ে হস্তক্ষেপ না করলে গয়েশ্বরকে হত্যা করা হত।  

এ ঘটনায় সবচেয়ে সন্দেহজনক ভূমিকা ছিল গয়েশ্বর রায়ের পুত্রবধু নিপুন রায়ের।  তিনি এ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।  এ কারণে তিনি লাইভে এসে গয়েশ্বর রায়কে গুলি করে হত্যা করার দাবি করেন।  তিনি ধারণা করেছিলেন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির সশস্র গ্রুপ পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে হত্যা করবে।
 
এদিকে, গাবতলী এলাকায়ও বিএনপির কর্মসূচি থেকে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়।  আমানউল্লাহ আমান তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে একটি গ্রুপ তাকে ঘিরে ধরে।  এ সময় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।  একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আমান  কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের কাছে তাকে রক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন।  


রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি করে আন্দোলনে উস্কানি দিতে ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গয়েশ্বর ও আমানকে হত্যা করার চক্রান্ত করা হয়েছিল।  পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে পুলিশ তড়িৎ গতিতে গয়েশ্বর রায় ও আমান উল্লাহ আমানকে নিজেদের সুরক্ষা বেষ্টনিতে নিয়ে আসে।  ফলে ভেস্তে যায় পরিকল্পনা। 

উল্লেখ্য, খালেদাপন্থী হিসেবে পরিচিত মীর্জা ফখরুল, মীর্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমান সহ বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে তারেক রহমানের দ্বন্দ্বের কথা বহুল আলোচিত।  তারেকপন্থী নেতাকর্মীরা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সরকারের এজেন্ট হিসেবে সন্দেহ করে।  
জানা যায়, কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ না দিয়ে ঢাকা মহানগরের একাংশের সভাপতি করায় তারেকের বিরুদ্ধে আমানউল্লাহ আমানের ক্ষোভ রয়েছে।  এর আগে ১০ ডিসেম্বর সহ কয়েকটি কর্মসূচিতে আমানউল্লাহ আমানকে গ্রেফতার না করায় কিংবা গ্রেফতার করলেও সেদিনই জামিন দেওয়া নিয়ে বিএনপি নেতা প্রশ্ন তুলেছিলেন।  এছাড়া গয়েশ্বর রায়কে ভারতের চর হিসেবে গণ্য করে বিএনপির অনেকে।  তাই তাদেরকে কোণঠাসা করতে প্রায়শঃই নানা পদক্ষেপ নেয় বিএনপি। 


বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী একটি দল।  প্রতিপক্ষ দলের নেতৃত্ব শূণ্য করতে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, শাহ এ এমএস কিবরিয়া ও আহসানউল্লাহ মাস্টার সহ বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে তারেক রহমানের নাম আলোচিত।  এছাড়া নারায়নগঞ্জের ডেভিড সহ নিজ দলের বহু নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার সঙ্গেও তারেক জড়িত বলে বিভিন্ন সংবাদ সূত্রে জানা যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নিজ দলের নেতাদের হত্যা করে আন্দোলন চাঙ্গা করার কৌশল নেওয়া বিএনপির জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়।  এর মাধ্যমে সরকারের ওপর হত্যার দায় চাপিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হতো।

জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি এ জাতীয় হঠকারী অনেক ষড়যন্ত্র করতে পারে।  তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক থাকা উচিত।