সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ফেসবুক পেইজ হিল ভয়েস থেকে গণধর্ষণের বানোয়াট কাহিনী প্রচার



পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হিল ভয়েস সহ কয়েকটি ফেসবুক পেইজ থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অব্যাহত অপপ্রচার চালানো হয়।  গত ৪ সেপ্টেম্বর এই পেইজটি থেকে ৬ সেনাসদস্য কর্তৃক রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে মিতিঙ্গাছড়ি গ্রামের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেনাসদস্যরা সাদা পোশাকে ছিল বলে উল্লেখ করে ঘটনাটি না জানানোর জন্য কিশোরীর পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে কিশোরীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।

 
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, রাইখালী ইউনিয়নে মিতিঙ্গাছড়ি নামে কোনো গ্রাম নেই। মিতিয়াছড়ি নামে একটি গ্রাম রয়েছে তবে সেখানে কোনো সেনা ক্যাম্প নেই। 

জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাইখালী সেনা ক্যাম্পের সদস্য মো: সুজন আলী উদাল গাছের কাণ্ড সংগ্রহ করতে রাইখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মিতিয়াছড়ি গ্রামে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি হলামোচিং মারমা ওরফে লিলিপ্রু (১৬) (পিতা- হলাথোয়াই মারমা) এবং তার ছেলে বন্ধু বাসিংউ মারমার (পিতা-উহলাসিং মারমা) সঙ্গে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে কথা বলেছিলেন।  কাজ শেষে সেনাসদস্য সুজন উদাল গাছের কাণ্ড নিয়ে ক্যাম্পে ফিরে যান।

রাইখালী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম আব্দুল্লাহ আসাদ এর নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করে ঘটনাটি মিথ্যা বলে নিশ্চিত হয়েছেন। 
৫ সেপ্টেম্বর অপপ্রচারের শিকার কিশোরী হলামোচিং মারমা রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে এ সম্পর্কে লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দি দিয়েছে। 

ধারণা করা হচ্ছে, উক্ত কিশোরীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে কেউ এই বানোয়াট কাহিনী প্রচার করেছে যা উগ্রবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হয়েছে।

অপপ্রচারের শিকার কিশোরী হলামোচিং মারমার পরিবার লিখিতভাবে সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ বানোয়াট বলে উল্লেখ করে নিন্দা প্রকাশ করেছে।

পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাঙালি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ইতিপূর্বেও ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং অর্ধসত্য তথ্য তুলে ধরে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। 

হিল ভয়েস সহ অপপ্রচারে লিপ্ত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলোকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এ সম্পর্কে জনগণের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।