সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

কক্সবাজারে অনুপ্রবেশকারী ওয়াসিমের দৌরাত্ম্য ও আ.লীগ নিধন


টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও শান্তিতে নেই পেকুয়া-চকরিয়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দল করলেও অনুপ্রবেশকারী-হাইব্রিড নেতাকর্মীদের ভিড়ে প্রকৃত নেতাকর্মীরাই এখন কোনঠাসা। বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হওয়া খুনের মামলায় আসামি করা হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। এসব মামলার আসামি হয়ে এলাকা ছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির মতো নেতারাও। পেকুয়ার ইউনিয়ন কি উপজেলা কমিটি, সব জায়গাতেই আওয়ামী লীগ নেতাদের পদ দখলে নিচ্ছেন একসময়ের চিহ্নিত বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। আর এসব দেখেও না দেখার ভান করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম। অভিযোগ উঠেছে, তার ছত্রছায়ায় ঘটছে এসব কর্মকান্ড।

এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জাফর আলম ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ ঘুরে আওয়ামী লীগে এসে সংসদ সদস্য হয়েছেন। বাই চান্সে এমপি হওয়া জাফর তাই নিজের অতীত ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন। আর পেকুয়া-চকরিয়ায় চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নিধন। পেকুয়া-চকরিয়া ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা স্বাধীনতা বিরোধী ও আওয়ামী লীগের মিটিং-মিছিলে হামলা চালিয়েছে এখন তাদের রাজত্ব চলছে এই দুই উপজেলায়। এলাকায় যারা দলের দুঃসময়ে মাঠে অবস্থান করে আওয়ামী লীগের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন, হাইব্রিডদের উৎপাতে তাদের খুঁজে পাওয়াই এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।


পেকুয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের একটি মগনামা। এই মগনামা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোলতান মোহাম্মদ রিপন। তিনি মগনামা ইউনিয়েনের মহুরীপাড়া গ্রামের মৃত মাহাবুবুর রহমানের পুত্র। পরিবারের বড় সন্তান রিপনের জীবনের ভয়াবহ দিন গেছে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল। যুবদল ও বিএনপির ক্যাডাররা তাকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।



ধানের শীষ প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম


রিপন বলেন, ৩১ মার্চ পেকুয়ার ইউপি নির্বাচন শেষ হয়। ধানের শীষের প্রার্থী শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম নির্বাচনে বিজয়ের পর নৌকার প্রার্থী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে। গত ৪ এপ্রিল রাতে আমার ওপর বিনা কারণে হামলা করা হয়। ওয়াসিমের নির্দেশে বিএনপির ক্যাডাররা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। সে সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। ওই সময়ে নৌকা প্রার্থী খাইরুল আনামের সাথে আমার কিছু সমস্যা ছিলো। আমাকে সে মেরে ফেললে কেউ তাকে সন্দেহ করতো না। সে চেয়েছিলো আমাকে মেরে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থীকে ফাঁসাতে। আমি ১১ দিন আইসিউতে ছিলাম। প্রাণে বেঁচে গেলেও দুই বছর এলাকা ছাড়া ছিলাম। খাইরুল আনাম তার টার্গেট ছিলো, ঐখানে আমাকে বলির পাঠা বানাতে চাচ্ছিলো।


তিনি বলেন, গত ২ মে মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় খুন হন জয়নাল আবেদীন। সে ওয়াসিম বাহিনীর ক্যাডার ছিলো। বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে খুন হওয়া জয়নালের মামলায় ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতিসহ বিএনপি নেতাকমীদের আসামি করা হয়। কিন্তু প্রধান আসামি করা হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আজিমকে। ঘটনার সময় আমি দেড় কিলোমিটার দূরে থাকলেও আমাকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়। এরপর থেকে এখনও আমি পলাতক রয়েছি। মামলার ২ নম্বর আসামি ইউনুছ চৌধুরী ও আমি আগামী ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। ওয়াসিম এখন থেকেই আমাদের কিভাবে সরিয়ে দেয়া যায় সে কাজ করছে।


জানা গেছে, ক্ষমতার পালাবদলে রঙ বদলানো ওয়াসিম এক সময়ে দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ছিলো। যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলীর প্রতিষ্ঠান কেয়ারি সিনবাদে চাকরি করতেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বিএনপি নেতা বনে যান। ২০১৬ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে হয়ে যান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। উপজেলা বিএনপির সাবেক আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিম এখন আওয়ামী লীগ নেতা। বর্তমানে সংসদ সদস্য জাফর আলমের সাথে নানা অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাকে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও রয়েছে তার ছবি। আর এসব দেখিয়েই তিনি দিনদিন প্রভাব বাড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। থানায় হত্যা, মাদকসহ অর্ধডজন মামলায় অভিযুক্ত থাকলেও সংসদ সদস্য জাফর আলমের ছত্রছায়ায় এসে তিনিই এখন বড় আওয়ামী লীগার।


একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েকদিন পর অনুষ্ঠান করে সংসদ সদস্য জাফর আলমের হাতে ফুল দিয়ে শতাধিক অনুসারীসহ আওয়ামী লীগে যোগ দেন চেয়ারম্যান ওয়াসিম। সেসময় ওয়াসিমকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জাফর আলম। জমি দখল, নিরীহদের ওপর নির্যাতন, চাঁদাবাজি, ইয়াবা ও মাদক বিক্রি কোনো কিছুতেই বাদ নেই ওয়াসিমের নাম। অভিযোগ আছে, পেকুয়ার মগনামা ঘাট দিয়ে মগনামা-কুতুবদিয়া সাগর চ্যানেল হয়ে সাগরপথে চালান পৌছে দেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের শুধু নির্যাতনই নয়। ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে নাম লেখানো ওয়াসিমের মামলা ফাদে পড়ে গেলো কয়েক বছরে এলাকাছাড়া হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ শত শত নেতা-কর্মী। এসব বিষয়ে দলের নেতাদের জানিয়েও প্রতিকার পাননি তারা।



চেয়ারম্যান ওয়াসিমের সাথে থাকা লোকজনও বিএনপি-জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত। তাদের সমন্বয়ে তিনি তৈরি করেছেন সশস্ত্র বাহিনী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়াসিম সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মগনামা ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস আলীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠে। দুধর্ষ ওয়াসিমের মামলার জালে ফেঁসে এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আজিম। ভালো নেই বর্তমান সভাপতি খায়রুল এনামও। ওয়াসিমের সমস্ত্র বাহিনীর কারণে দেড় থেকে দুই বছর হলো এলাকা ছাড়া তিনি। আ.লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর ওয়াসিম চালানো নির্যাতন নিয়ে ‘দুঃখি আওয়ামী লীগের কান্না। কান্দে আওয়ামী লীগ, কান্দে মানবতা, একজন শিবির ক্যাডারের হাতে জিম্মি ৩০ হাজার জনতা’ নামে উপজেলায় পোস্টারিংও করেছেন মগনামা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।


পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হাসেম বলেন, আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মী তার মামলার আসামি। আমাদের এমপি জাফর আলম একসময় বিএনপি করতেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র থেকে নৌকার এজেন্টকে বের করে দেন তিনি। নিজেও অনুপ্রবেশকারী যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। ১৯৭৮ সালের দিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনীদের পুনবার্সনেও সহায়তা করেছেন তিনি।


তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে রাজনীতি করি। বিএনপি থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের নির্যাতন আর কত সহ্য করবো। চেয়ারম্যান ওয়াসিম ও তার ক্যাডার বাহিনীদের আ.লীগের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছেন জাফর আলম। একসময়ের শিবির নেতা ওয়াসিম এখনো ধানের শীষের চেয়ারম্যান। ইয়াবা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। ওয়াসিম যা বলে তাই করেন এমপি। পেকুয়া ও চকরিয়া থেকে আ.লীগ নিধন করতে এমপি একাই যথেষ্ট।


চেয়ারম্যান ওয়াসিমের সশস্ত্র বাহিনী গোপন হামলা চালাতে পারে এ জন্য এলাকায় কম যান জানিয়ে মগমনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুল আমিন বলেন, আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলাম। এখন এলাকার পরিস্তিতি খুবই খারাপ। চেয়ারম্যান ওয়াসিম এমপির সহায়তায় কয়েকশ’ কোটি টাকার মালিক। আমরা খাবার জুটাতে পারি না। আমার ওপর একদিন রাতে হামলা করেছিলো। তার সাথে এমপি, থানা প্রশাসনের ভালো সম্পর্ক। উনি মিথ্যা বললেও মামলা নিয়ে নেয়। আর না হলে রাতে ধরে নিয়ে যাবে। আমরা আ.লীগ করি। আমাদের কথা জেলা, উপজেলা আ.লীগ কেউ শুনে না। এমপিও তার কথা বলে। এখন আমরা যাই কই? আমাদের কথা কি কেন্দ্র শুনবে? এসব বিষয়ে প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আইজিপি, র‌্যাব, প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক বড় বড় জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি। আমার কাছে রিসিভ কপি আছে। কিন্তু কোনো কাজ হয় না।



ওয়াসিমকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করছেন এমপি জাফর আলম


রাজাখালী ইউনিয়ন প্রবীণ আ’লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসি। ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বে। কাউন্সিল ছাড়াই হঠাৎ একদিন শুনেন ইউনিয়ন আ’লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই পদে দায়িত্ব দেয়া হয় ছৈয়দ নুরকে। এলাকায় যিনি একজন ডাকাত সর্দার ও অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। রাজাখালী ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করে নির্বাচিত হন ছৈয়দ নুর। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেয়া হয় নাছির উদ্দিনকে। সাবেক উপজেলা শ্রমিকদলের নেতা নাছিরের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের দু’জনই সংসদ সদস্য জাফর আলমের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।


জানা গেছে, ছৈয়দ নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন থানায় ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। র‌্যাব-৭ কক্সবাজার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল রাতে পেকুয়ার বারাইয়াকাটা এলাকা থেকে ১টি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলিসহ ছৈয়দ নূরকে হাতেনাতে আটক করে র‌্যাব। পরে তার দেয়া তথ্যমতে, অভিযান চালিয়ে ১টি এসএমজি (অটোমেটিক সাব মেশিন কারবাইন), ১টি রিভলভার, ১টি ওয়ান শুটার গান ও ৫রাউন্ড রিভলবারের গুলি উদ্ধার করা হয়। ২০২০ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে দুই ইউপি সদস্যকে মারধর ও অপহরণের অভিযোগ উঠে। চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর ও তার পুরো পরিবার বিএনপি রাজনীতির সাথে সক্রিয় তার ছোট ভাই নুরুল আবসার বধু উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি। তার অপর ভাই জাহাঙ্গীর আলম ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে রাজাখালী সবুজ বাজারে আ.লীগের মিছিলে গুলি বর্ষণ করে হামলা করার অভিযোগও রয়েছে।


এদিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন সাবেক যুবদল নেতা মাহাবুল করিম ও বিএনপি নেতা ঈসমাইল মেম্বার। নির্বাচনে বিজয়ের কিছু দিন পর তাদেরকে ফুলের মালা দিয়ে আ.লীগে বরণ করে নেন এমপি জাফর। জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফার পিতা আব্দুল গণী ছিলেন জামায়াত নেতা। তার পরিবারের মধ্যে তিনিই একমাত্র আ.লীগ করেন। জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত এক নেতার মেয়েকে বিয়ে করা ও সাংসদ জাফর আলমের কারণে পেয়ে গেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদ।


সংসদ সদস্য জাফর আলমের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জুন মাসে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে পিটুনি দেয়ার অভিযোগ উঠে। পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ১০ জুন জাফর আলমকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একইসাথে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। যদিও এর কয়েকদিনের মাথায় সমঝোতার মাধ্যমে আবারো তাকে পুনর্বহাল করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। গেলো ২১ জুনের পেীরসভা নির্বাচনে সংসদ সদস্যের ভাতিজা জিয়াবুল হক নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। পেকুয়া-চকরিয়ার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ পুরনো। এসব এলাকার নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কোটিপতিদের দলে অনুপ্রবেশ করিয়ে তাদের রাজত্ব কায়েম করছেন জাফর আলম। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হলেও এখন কৌশলে আ.লীগ নিধনের মিশনে নেমেছেন তিনি। তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের রক্ষায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ চান তারা।



এক অনুষ্ঠানে ওয়াসিমের সাথে এমপি জাফর আলম


সম্প্রতি পেকুয়ার একটি পথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অসৌজন্যমূলক বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে জাফর আলমকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। সাত দিন সময়ের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দিলে জাফর আলমকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। এরপরই জাফর আলমের অন্যায় অত্যাচার নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।


চকরিয়া-পেকুয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাফর আলম বলেন, আপনি অভিযোগ দেয়ার কে? আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আছেন। এসব বিষয়ে আমার সাথে কথা বলে কোনো লাভ নেই জানিয়ে তিনি মোবাইল ফোন কল কেটে দেন।