সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পনা! সক্রিয় হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীরা


আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি জামায়াত এবার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্ত করেছে বলে জানা গেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগের সমর্থক সাজিয়ে জালভোট দেওয়া, অনুপ্রবেশকারীদের মাধ্যমে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটানো এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়া সহ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েকটি সূত্রের মতে, এ কারণেই নির্বাচনের আগে দলীয় কার্যক্রম জোরদার করার পরিবর্তে স্তিমিত বিএনপি নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পরিকল্পনা করেছে।

কয়েকটি গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন বিতর্কিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। জামাত শিবির থেকে আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ছক সাজানো হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াতে দৈনিক যুগান্তরের সাবেক এক সাংবাদিকের নেতৃত্বে ঢাকা পোস্ট নামে একটি অনলাইন পোর্টালের কয়েকজন সাংবাদিক এই পরিকল্পনা সমন্বয় করছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বড় অংকের টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলেও জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের একজন কর্মকর্তা জানান, নজরদারিতে থাকা কয়েকজন অভিযুক্তের ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে। 

কী ধরণের পরিকল্পনা করেছে বিএনপি জামাত?

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে জানা গেছে। জাল ভোট দেওয়া, কোনো প্রার্থীর পক্ষ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা, একাধিক ব্যালটে সিল মারাসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভিডিও ধারণ ও তা ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ে বহুবার আল্টিমেটাম দিয়েও গত এক যুগে বিএনপির আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। বিএনপির পাশাপাশি সমমনা দলগুলো যা বলেছে, তার প্রতিফলনও দেখা যায়নি আন্দোলনে। আন্দোলনের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় এক অর্থে স্তিমিত হয়ে পড়েছে দলীয় কার্যক্রম। আমেরিকার দিকে চেয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর বোধহয় বিএনপির শীর্ষ নেতারা দেখছেন না।

ধারণা করা হয়েছিল আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি হয়তো ব্যাপক সহিংতার পথ বেছে নিবে। নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা, সভা-সমাবেশে লোক সমাগম কমে যাওয়া, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার মত আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি দৃশ্যত দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাই আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে বিএনপি জামাত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের উচিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের প্রতি সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা।