সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

কোটাবিরোধী আন্দোলনে কালো টাকা ঢালছে চিহ্নিত দুনীতিবাজরা! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

 


সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়সহ সারাদেশে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকলে যখন সোচ্চার এবং সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবাজদের ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ঠিক তখনই সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সরকারের কট্টর সমালোচকরাও। এর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহের দানা বেঁধেছে। বিশেষত কোটা সংশ্লিষ্ট রায় যেহেতু আদালতের, তাই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এর সুরাহা হওয়া বাঞ্চনীয়। কিন্তু হঠাৎ করে রাজপথে অবস্থান নিয়ে ভোগান্তি সৃষ্টির কী কারণ হতে পারে তা নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে সাংবাদিকরা। কয়েকটি অনুসন্ধানের সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, দুর্নীতির ইস্যু আড়াল করতে বেনজীর ও মতিউরসহ কয়েকজন দুর্নীতিবাজ এই আন্দোলনে কালো টাকা ঢালছে। 

বেনজীর-মতিউরসহ যেসব দুর্নীতিবাজদের তথ্য সামনে এসেছে এবং যাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে তারা সকলেই হাজার কোটি টাকার মালিক। সরকারের পক্ষ-বিপক্ষ উভয়েই একটি বিষয়ে একমত যে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বেনজীর-মতিউরসহ দুর্নীতিবাজরা। এর সূত্র ধরে পরিচালিত তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় সানজানা আফিফা অদিতির সঙ্গে মতিউর-কন্যা ফারজানা রহমান ইপ্সিতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আফিফা ও অপর আন্দোলনকারী সারজিস আলমের মাধ্যমে এ আন্দোলনে কালো টাকা ঢেলেছে মতিউর। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর নামে বেনজীরসহ কয়েকজন দুর্নীতিবাজের কাছ থেকে প্রাপ্ত অবৈধ অর্থের সমন্বয় করছে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন ও আখতারের গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব নাহিদ ইসলাম। 

কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে যার উত্থান সেই নুরুল হক নুর অভিযোগ করেছেন, ‘চলমান ইস্যুগুলোকে আড়াল করতে’ কোটাবিরোধী আন্দোলন সামনে আনা হয়েছে। অন্যদিকে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর সব সমালোচনা থেমে যাবে বলে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা যায়। মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী দম্ভ ভরে বলেছেন, ‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই তারপর এসেছি। সব থেমে যাবে।’

গাড়ি ভাংচুর ও পথচারীদের হেনস্তা করা সহ আন্দোলনের যে প্রকৃতি দেখা যাচ্ছে তাতে সুস্পষ্ট যে, আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করার অপচেষ্টা হচ্ছে। 

সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিমত, আন্দোলনকে যেন কেউ ব্যবসায় পরিণত না করে।  সচেতন নাগরিকরা মনে করেন আদালতের রায় আদালতের মাধ্যমেই সমাধান করা উচিত।